1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পত্রপত্রিকার দর্পণে

৪ সেপ্টেম্বর ২০১০

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিদেশী সাহায্যের স্থান কি? মোবাইল অপারেটররা নাকি তাদের সুবিশাল অর্থদণ্ড ফেরৎ চাইবার কথা ভাবছে৷ ক্রিকেটের সর্বাধুনিক কেলেঙ্কারিতে অনমনীয় আইসিসি৷

https://p.dw.com/p/P42R
ক্রিকেট, বাংলাদেশ, মোবাইল অপারেটর, বিদেশী সাহায্য, cricket, mobile operators
ক্রিকেটের দুর্যোগছবি: AP

বিদেশী সাহায্যের ৩২ ভাগই নাকি চলে গেছে দেনা শোধে, জানাচ্ছে কালের কণ্ঠ৷ কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনটি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে৷ ইআরডি'র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জুলাই ২০০৯ থেকে জুন ২০১০ অবধি বাংলাদেশ মোট ২১৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বৈদেশিক সহায়তা পেয়েছে৷ ঐ একই সময়ে সুদ-আসল মিলিয়ে সরকারকে ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ৬৯ কোটি ডলার৷ কাজেই প্রায় ৩২ শতাংশই দাঁড়াচ্ছে৷

বৈদেশিক সাহায্যের প্রয়োজন নিয়েই প্রশ্ন

পত্রিকাটি তুলেছেও তাই৷ পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন বা পিকেএসএফ'এর চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ দৃশ্যত মনে করেন যে, বিদেশী সাহায্য ছাড়াই বাংলাদেশের চলে যাবে৷ কারণ জাতীয় আয়ের দুই শতাংশেরও কম বিদেশী সাহায্য৷ তার আবার অর্ধেক যাচ্ছে ঋণ পরিশোধে৷ এছাড়া অতীতে ‘বিদেশীদের পরামর্শ শুনে' স্বদেশের পাটশিল্পকে ধ্বংস করার কাহিনী স্মরণ করিয়ে দেন তিনি, যদিও আজ পোশাক শিল্প সেই পাটের ভূমিকা নিয়েছে৷

মোবাইল অপারেটররা অর্থ ফেরৎ চাইতে চলেছে

অর্থ না বলে অর্থদণ্ড বলা ভালো৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাদের সাড়ে আটশ' কোটি টাকা জরিমানা দিতে হয়৷ সমকালের বিবরণ অনুযায়ী এই জরিমানা নেওয়ার সময় তাদের কাছ থেকে মুচলেকাও নেওয়া হয় যে, তারা পরবর্তীতে আদালতে যাবে না৷

তাদের নতুন সাহস যুগিয়েছে গত ২৪শে অগাস্ট হাইকোর্টের একটি রায়, যে রায়ে জরুরি অবস্থায় দু'টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেওয়া প্রায় ৩০০ কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে সরকারকে ফেরৎ দিতে বলেছেন মাননীয় আদালত৷

টেলিযোগাযোগ আইনে না থাকলেও পাঁচ দফায় চার মোবাইল অপারেটরের কাছে থেকে প্রায় সাড়ে আটশ' কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়৷ অথচ আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল৷ পরে আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ তিনশ' কোটি টাকার শাস্তি রাখা হয়েছে৷

পিসিবি বনাম আইসিসি

অর্থাৎ ক্রিকেট কেলেঙ্কারি৷ সমকাল লিখছে: ‘ভদ্রতা করে সাসপেন্ড শব্দটি কিছুতেই উচ্চারণ করতে চায়নি পাকিস্তানি বোর্ড৷' অপরদিকে লন্ডনে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত যে বহিষ্কৃত ক্রিকেটারদের হয়ে সাফাই গেয়েছেন, সে খবর দিয়েছে পত্রিকাটি৷ রাষ্ট্রদূত এমনকি বলেছেন, ‘আমাদের সন্দেহ, এর পেছনে ভারত সরকারের উস্কানি রয়েছে'৷ কিন্তু আইসিসি এবার সম্ভবত ভবি ভুলবে না৷ কালের কণ্ঠের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘অন্যান্য সময় মুখস্থ বুলিতে ভরা কিছু বিজ্ঞপ্তি-বিবৃতিতে সীমিত থাকে আইসিসি'র কার্যক্রম৷ তবে পাকিস্তানিদের এই স্পট ফিক্সিং ফাঁস হওয়ার পর ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিকে মনে হচ্ছে সিরিয়াস৷'

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য