1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদত্যাগের প্রস্তাব দিলেন মে

২৮ মার্চ ২০১৯

শেষ মূহূর্তেও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা ব্রেক্সিট কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনো সাফল্য পেলেন না৷ ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের শর্তে টেরেসে মে পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছেন৷ ফলে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3Fn9n
England, London: Debatte im House of Commons
ছবি: Reuters/UK Parliament/M. Duffy

বুধবার রাতে ব্রিটেনের সংসদে বিভাজনের স্পষ্ট চিত্র উঠে এলো৷ ব্রেক্সিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ৮টি সম্ভাব্য বিকল্পই যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, ভোটাভুটির মাধ্যমে সেই কঠিন সত্য জানা গেল৷ ব্রিটেনের সংসদ সদস্যরা এতকাল শুধু কী চান না, সে বিষয়ে ঐক্য দেখিয়ে এসেছেন৷ কিন্তু সরকারের কাছ থেকে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার রাশ কেড়ে নিতে গিয়ে তাঁরা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন৷ ফলে ব্রেক্সিটকে ঘিরে ব্রিটিশ রাজনীতিতে অচলাবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো৷

ব্রিটিশ সংসদ অবশ্য এখনো হাল ছাড়তে প্রস্তুত নয়৷ আগামী সোমবার তাঁরা আবার সেই সব বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে ‘ইন্ডিকেটিভ ভোট' চালিয়ে যেতে চান, বুধবার যেগুলি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে৷ উল্লেখ্য, দ্বিতীয় গণভোট ও ইইউ-র সঙ্গে শুল্ক ইউনিয়নে থাকার প্রস্তাব সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে৷

এদিকে প্রত্যাশিতভাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বুধবার নিজের পদত্যাগের প্রস্তাব রেখেছেন৷ তবে পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করাতে চান৷ মে অবশ্য পদত্যাগের কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি৷ নিজের দলের অনেক সংসদ সদস্য চুক্তির পক্ষে সমর্থনের ইঙ্গিত দিলেও বিশেষ করে জোটসঙ্গী ডিইউপি দল এখনো চুক্তির বিরোধিতা করে চলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে৷ সেই আশ্বাস না পেলে প্রধানমন্ত্রী আদৌ তৃতীয়বারের মতো সেই প্রস্তাব সংসদে পেশ করবেন কিনা, তাও স্পষ্ট নয়৷

শুক্রবারের মধ্যেই সংসদে এই বিচ্ছেদ চুক্তি অনুমোদন করাতে চান টেরেসা মে৷ সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার অবশ্য প্রক্রিয়াগত কারণ দেখিয়ে এখনো এমন প্রচেষ্টার বিরোধিতা করছেন৷ উল্লেখ্য, মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবারই ব্রেক্সিট কার্যকর হবার কথা ছিল৷ আপাতত সেই বিচ্ছেদের তারিখ ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত পেছানো হয়েছে৷ ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদিত হলে তা কার্যকর করার জন্য ২২শে মে পর্যন্ত সময় পাবে ব্রিটেন৷

বুধবারের ভোটাভুটির পর ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়লো৷ বাকি সব বিকল্প বাতিল হবার পর হয় চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট, অথবা ব্রেক্সিটের তারিখ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মুলতুবী রাখার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে৷ এমনকি ব্রিটেন আদৌ ইইউ ত্যাগ করবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক আবার ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় দীর্ঘমেয়াদী বিলম্বের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)