1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিতৃপ্ত হওয়ার কারণ নেই

ইনেস পোল/জেডএইচ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া ককাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প জেতেননি বলে পরিতৃপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কেননা যিনি জিতেছেন সেই টেড ক্রুজও একজন অতি রক্ষণশীল এবং কট্টরপন্থি ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টান, বলেন ডিডাব্লিউ-র ইনেস পোল৷

https://p.dw.com/p/1Hnxj
Ted Cruz Iowa Vorwahlen Präsidentschaftswahlen
ছবি: Reuters/J. Young

রিপাবলিকান ককাস থেকে যে খবর এসেছে সেটা ভাল নয়৷ এর কারণ মূলত দুটি৷ প্রথমত, যে ব্যক্তি লজ্জাকরভাবে নারীদের অবমাননা করেন, যিনি মুসলিমবিরোধী এবং যিনি মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে উঁচু দেয়াল তৈরি করতে চান, তিনি ২৪.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন৷ অনেকে হয়ত শান্তি পাচ্ছেন এই ভেবে যে, ট্রাম্প অন্তত প্রথম হওয়ার মতো ভোট পাননি৷ তবে বর্ণবাদী ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে যে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন সেই বিষয়টিও উদ্বেগের৷

আইওয়া ককাসের আগে হিলারি ক্লিনটন ও ট্রাম্পকে নিয়ে এত লেখালেখি হয়েছে যে, অন্য যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন তাদের কর্মসূচি সম্পর্কে খুব একটা প্রচার হয়নি৷ আর এই বিষয়টিই উদ্বেগের দ্বিতীয় কারণ৷ টেড ক্রুজ হলেন একজন কট্টরপন্থি ইভানজেলিক্যাল খ্রিষ্টান, যিনি সমকামী ও মুসলিমদের মতো সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে তাঁর মত প্রকাশ করেছেন৷ গর্ভপাতের অধিকারের বিরুদ্ধেও তিনি সোচ্চার৷ প্রেসিডেন্ট হলে তিনি ইরান চুক্তি ও ‘ওবামাকেয়ার' বাতিল করার অঙ্গীকার করেছেন৷ ককাসের ছোট্ট এক জিমখানায় সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে ক্রুজ ঘোষণা করেন, প্রেসিডেন্ট হলে তিনি জেরুসালেমকে ইসরায়েলের বৈধ রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দেবেন৷

Bildkombo Hillary Clinton Donald Trump USA Präsidentschaftswahlen 2016
হিলারি ক্লিন্টন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পছবি: Getty Images/J.Raedle/picture-alliance/dpa/D.Van Tine

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে হয়ত এতটুকু আশা করা যায় যে, তাঁর ব্যবসায়িক বুদ্ধির কারণে তিনি হয়ত দায়িত্ব পেলে বড় ধরণের বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে এমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন৷

Pohl Ines Kommentarbild App
ইনেস পোল, ডয়চে ভেলে

ডেমোক্র্যাটিক ককাস

বার্নি স্যান্ডার্সের সাফল্য হিলারি ক্লিনটনের জন্য দুশ্চিন্তা বয়ে আনবে৷ যদিও স্যান্ডার্সের কট্টর সমর্থক ছাড়া অন্য কেউ হয়ত বিশ্বাস করেন না যে, স্যান্ডার্স ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন পেতে পারেন৷ কারণ তাঁর পরিকল্পনাগুলো সমৃদ্ধ নয়৷ বিশেষ করে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তিনি ক্লিনটনের আশেপাশেও নেই৷ সাম্প্রতিক বিতর্কগুলোতে সেটা আরও স্পষ্ট হয়েছে৷ ক্লিনটনকে এখন যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে, তাঁকে তাঁর উদারনীতি বজায় রাখতে হবে৷

নির্বাচনি প্রচারণা কেবল শুরু হয়েছে৷ দিন দিন এটি আরও ‘নোংরা' হবে৷ আইওয়ায় গত কয়েকদিনের ঘটনায় তা আরো স্পষ্ট হয়েছে৷

বন্ধু, আপনি কি ইনেস পোলের সঙ্গে একমত? জানান নীচে, মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান