1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশ বাঁচাতে কালাপানি

ক্রিস্টফ কোবার/এসি২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ভারতের উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য হলো সাত হাজার কিলোমিটার, অথচ পরিবেশ সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টা সামান্য ও সীমিত৷ তাই উপকূল এলাকার বনবিভাগের কর্মকর্তাদের পরিবেশ সচেতন করে তোলার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে – আন্দামানে!

https://p.dw.com/p/1I0vc
Indien Navy Patrouille MH370 Flug Malaysia Airlines
ছবি: Reuters

‘ক্লাউনফিশ', যা কিনা হলিউডের কল্যাণে জগদবিখ্যাত৷ আন্দামানে কিন্তু সে বেচারির খুব একটা প্রভাব-প্রতিপত্তি নেই৷ ওদিকে যে ডুবুরিরা এই ক্লাউনফিশ দেখে মুগ্ধ, তাঁরা কিন্তু বনবিভাগের কর্মকর্তা! তাঁদের আন্দামানে নিয়ে আসা হয়েছে বেড়াবার জন্য নয় – তাঁরা যাতে এই ইকোসিস্টেম বা পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে৷ নিজেদের অঞ্চলে বা কর্মক্ষেত্রে এ রকম পরিবেশ দেখার সুযোগ ঘটে না এই কর্মকর্তাদের৷ এঁদের মধ্যে কয়েকজন এই প্রথম জলের নীচে নামলেন!

শশীকুমার তাদের মধ্যে একজন৷ তাঁর কাছে এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা৷ শশীকুমার এসেছেন পশ্চিম ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে – যা কিনা আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ থেকে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দূরে৷ আন্দামানে শশীকুমার ও তাঁর সতীর্থরা দেখবেন, মানুষজন কীভাবে একটি পরিবেশকে ধ্বংস না করে, সেই পরিবেশে জীবনযাপন করতে পারে৷ আন্দামানকে জেনেশুনেই বেছে নেওয়া হয়েছে – তার বিপুল জীববৈচিত্র্যের জন্য৷

পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে এসেছে আন্দামান

শশীকুমার বলেন, ‘‘এখানে সৈকতভূমি, ম্যানগ্রোভ, উপকূলীয় অরণ্য, সব কিছু দেখতে পাওয়া যায়, যা অন্যত্র বিরল৷ শুধুমাত্র একটি দ্বীপেই এ ধরনের সমৃদ্ধ উপকূলীয় অরণ্য দেখতে পাওয়া যায়, সেই সঙ্গে ম্যানগ্রোভ, বেলাভূমি, তার পর সমুদ্র৷ সাগরের জলে নানা ধরনের প্রবাল আর মাছ দেখতে পাওয়া যায়৷''

যা দেখে বনবিভাগের দশজন কর্মকর্তা মুগ্ধ! ভারতের মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা থেকে তাঁদের আন্দামানে আনা হয়েছে; এখানে তাঁরা যা শিখবেন, কর্মক্ষেত্রে ফিরে নিজেদের সহকর্মীদের সে বিষয়ে বলবেন৷ তাঁদের কর্মস্থানে শিল্প, অর্থনীতি, পরিবেশদূষণ ও জনবসতি বাড়ছে – ভারতের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ বাস করে উপকূলীয় অঞ্চলে৷

জার্মান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সমিতি জিআইজেড-এর নীরজ খেরা জানালেন, ‘‘ভারতের উপকূলভাগের মাত্র একটি ক্ষুদ্র অংশ বন্যপ্রাণী সুরক্ষা বা সংরক্ষণ আইনের আওতায় পড়ে৷ সাম্প্রতিককালে আরো বেশি এলাকা সুরক্ষিত করার প্রতি অধিকতর মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে৷''

জার্মান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা – জিআইজেড বনবিভাগের কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণের খরচ আংশিকভাবে বহণ করছে৷ এই প্রশিক্ষণ একটি বৃহত্তর প্রকল্পের অঙ্গ, যা কিনা ভারতের সাত হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলের ২০ শতাংশ এলাকাকে ব্যাপক ব্যবহার ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবে৷

ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া সংস্থার প্রতিনিধি শিবকুমার কুপ্পুস্বামী জানালেন, ‘‘ডাঙায় মানুষজন বিশেষ ক্ষতি করে না, কেননা ওটা আইনগতভাবে সুরক্ষিত এলাকা৷ উপকূলীয় অঞ্চলের কথা আলাদা৷ ধীবর সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে বহুকাল ধরে আছে ও মাছ ধরছে, অন্য কাজ করছে৷ আমারা তাদের হঠাৎ করে বলতে পারি না, তোমরা এখানে মাছ ধরবে না৷''

আন্দামান থেকে তিন হাজার কিলোমিটার দূরে গুজরাত প্রদেশের উপকূলে ঠিক সেটাই হলো সমস্যা৷ একটি বিশেষ শিল্প এলাকায় বহু নতুন কলকারখানা খুলছে৷ সেই বারুচ প্রদেশ আবার পড়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা শশীকুমারের কর্মক্ষেত্রের মধ্যে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য