পশুরক্ষায় পিছিয়ে ভারত
অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে পশুরক্ষার আইন বেশ দুর্বল৷ বিস্তারিত জানুন ছবিঘরে...
৬০ বছর পুরোনো আইন
১৯৬০ সালে ভারতে প্রনয়ণ করা হয় পশুর ওপর নিষ্ঠুরতা রোধে বিশেষ আইন৷ এই আইনটি পাশ হবার আগে তার খসড়া লিখেছিলেন বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী ও পশুপ্রেমী রুক্মিণী দেবী অরুনডালে৷ এই আইন অনুসারেই ভারতের প্রথম পশু কল্যাণ বোর্ড গঠিত হয়৷ ছয় দশক আগের এই আইনে আজও কোনো সংশোধন আনা হয়নি৷
যদিও বাড়ছে পশুর ওপর অত্যাচার
ভারতের সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা একটি দলিল বলছে, ২০১২ থেকে ২-০১৫ সালের মধ্যে দেশে ২৪ হাজারেরও বেশি পশুর সাথে নিষ্ঠুর আচরণের মামলা দায়ের হয়েছে৷ এছাড়া, গবেষকদের মত, বিশাল সংখ্যার ঘটনা কখনও নথিভুক্ত হয়না সেখানে৷
মাত্র ৫০ রুপি জরিমানা
১৯৬০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পশুর ওপর নিস্ঠুর আচরণের অপরাধে সর্বনিম্ন ১০ রুপি এবং সর্বোচ্চ ৫০ রুপি জরিমানা করা হয়েছে৷ এত বছর কেটে গেলেও বা মুদ্রার দামে বদল আসলেও, জরিমানার মূল্য বদলায়নি৷
তিন মাসের কারাবাস
এই আইনের আওতায় অপরাধী প্রমাণ হবার তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার সেই একই ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে ন্যূনতম ২৫ রুপি ও সর্বোচ্চ ১০০ রুপি জরিমানার বিধি রয়েছে৷ বারবার এই অপরাধ করলে রয়েছে সর্বোচ্চ তিনমাসের কারাবাসের শাস্তি৷
দাবি উঠছে, তবুও...
২০১১ সালে পশু কল্যাণ বোর্ড দাবি জানায় এই আইনে সংশোধন এনে পশুদের ওপর বাড়তি অত্যাচারের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবার৷ পরে আবার ২০১৪ সালেও একই দাবি ওঠে৷ কিন্তু আজও এই দাবিগুলি সংসদে পাশ হয়নি৷
এক এক রাজ্যে এক এক নিয়ম
২০১৭ সালে জল্লিকাট্টু নামের খেলাকে পশু অত্যাচারের আওতায় এনে এই আইনে বদল আনে, যা ছিল কেবল রাজ্যভিত্তিক৷ কিন্তু তবুও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা সেই সংশোধনীতেও নেই৷
কঠোর আইনের প্রয়োজন
পশু সংরক্ষণ সূচকের হিসাবে ২০২০ সালে ভারতের স্থান তালিকার ছয়টি ধাপের মধ্যে তৃতীয় ধাপে৷ এই সূচক ৫০টি দেশে পশুদের প্রতি আচরণের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয় প্রতি বছর৷ ‘ওয়ার্ল্ড অ্যানিম্যাল প্রোটেকশান’ সংস্থার এই তালিকায় ভারতের সাথে রয়েছে স্পেন, মেক্সিকো, ফ্রান্স ও নিউজিল্যান্ড৷ তাদের মত, ভারতে আরো কঠোর আইন প্রনয়ণ ও বর্তমান আইনের ব্যাপক সংশোধন আশু প্রয়োজন৷ গবেষণায় নেই বাংলাদেশের পরিসংখ্যান৷