1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‌পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ বিরোধী প্রস্তাব

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২৭ জানুয়ারি ২০২০

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলে একটি সর্বদলীয় প্রস্তাব সোমবার পাস হলো পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়৷ কেরালা, পাঞ্জাব, রাজস্থানের পর পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ বিরোধী-শাসিত রাজ্য, যারা এই প্রস্তাব পাস করল৷

https://p.dw.com/p/3WsMt
Indien BJP
ছবি: DW/P. Samanta

পশ্চিমবঙ্গ প্রথম থেকেই এনআরসি, অর্থাৎ নাগরিক পঞ্জি এবং সিএএ, অর্থাৎ নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সরকার লিখিতভাবেও কেন্দ্র সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, যে এনআরসি, সিএএ তো বটেই, জাতীয় জনসংখ্যা নথিভুক্তি, অর্থাৎ এনপিআর-এর কাজও পশ্চিমবঙ্গে হবে না৷ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতা সফরে এলে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজভবনে তাঁর যে একান্ত বৈঠক হয়, সেই বৈঠকেও এনআরসি, সিএএ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি৷ কিন্তু এতদিন পর্যন্ত সরকারিভাবে, রাজ্য বিধানসভায় সিএএ-র বিরুদ্ধে কোনও প্রস্তাব গৃহিত হয়নি৷ বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস সেই দাবি তুললেও মুখ্যমন্ত্রী তা খারিজ করেন এই বলে, যে এনআরসির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেই দেশের মধ্যে প্রথম নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছিল৷ কাজেই আলাদা করে কোনও বিরোধী প্রস্তাব আনার দরকার নেই৷

অধীর চৌধুরি


কিন্তু অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত বদলালেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সোমবার রাজ্য বিধানসভায় সিএএ-এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হল, যে প্রস্তাবে সমর্থন জানাল বাম এবং কংগ্রেস৷ বিজেপি বিধায়করা স্বাভাবিকভাবেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন, কিন্তু সেই নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ ছিল না৷ ভোটাভুটি ছাড়াই প্রস্তাবটি এদিন বিধানসভায় পাস হয়ে যায়৷
কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি সোমবার সকালে এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‌এই প্রস্তাব এর আগে বাংলায় যারা বিপক্ষ দল, কংগ্রেস, সিপিএম-তাদের সকলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল৷ সেই সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রাজি ছিলেন না৷ আজ তিনি রাজি হয়েছেন৷ সেই জন্যে তাঁকে সাধুবাদ জানাচ্ছি৷'‌
মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় এ প্রসঙ্গে এদিন বলেন, কংগ্রেস, বামেরা এখন সিএএ বিরোধী প্রস্তাবের ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু এখন তার সময় নয়৷ এখন একজোটে লড়াইয়ের সময়৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সিএএ-এর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার শুরু হবে৷ ওই দিন হবে মহা মানব বন্ধন৷ ছয় তারিখ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাতে শুরু করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা৷
তবে কলকাতায় লাগাতার মিছিল বিক্ষোভ চলছে এনআরসি, সিএএ-র বিরুদ্ধে৷ সোমবারও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় মিছিল, পথ নাটক করেন মূলত ছাত্র-ছাত্রীরা৷ আর রবিবার, সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, ১১.‌৫ কিমি রাস্তা ধরে দীর্ঘ এক মানব বন্ধনে সামিল হন সাধারণ মানুষ৷