1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গের পুরভোটে তৃণমূলের সাফল্য

২ জুন ২০১০

পরিবর্তনের ঝড়ে উড়ে গেল বামফ্রন্ট, এমনকী কংগ্রেসও৷ রাজ্যের ৮১টি পুরবোর্ডের মধ্যে ২৬টি দখলে নিল তৃণমূল কংগ্রেস৷

https://p.dw.com/p/Ng7m
একা লড়েও মমতা দেখিয়ে দিলেন যে তিনি বামবিরোধী ভোট টানতে পারেনছবি: AP

লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ভাল ফল করার পর, এবার পুর নির্বাচনে কংগ্রেসকে যথেষ্ট আসন ছাড়তে রাজি না হয়ে যখন কার্যত জোট ভেঙে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন বিরোধীদের নির্বাচনী ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই প্রমাদ গুনেছিলেন৷ কিন্তু জোট না করে তৃণমূল নেত্রী আদতে দেখতে চেয়েছিলেন, স্রেফ একার জোরে পশ্চিমবঙ্গের বামবিরোধী ভোট তিনি টানতে পারেন কি না৷ সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উৎরে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

কলকাতা পুরসভার ১৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯৫টি দখল করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সল্ট লেকে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা বাম পুরবোর্ডকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল, এবং রাজ্যের বাকি ৭৯টি পুরসভার মধ্যে ২৬টিতেই তৃণমূলের একার ক্ষমতায় পুরবোর্ড গঠন৷ সেই সঙ্গে এই পুর নির্বাচন আরও একটা শিক্ষা দিয়ে গেল তাঁকে৷ ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাইটার্স বিল্ডিং দখলের যে স্বপ্ন তিনি দেখছেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে সেই স্বপ্ন তাঁর সাকার হবে না৷ যে কারণে পুরভোটে সাফল্যের পর পরই তিনি জোটের কথা বলেছেন৷

এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যও বুঝিয়ে দিয়েছেন, পুরভোটের আগে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের যত বাকবিতণ্ডাই হোক না কেন, জোটে তাঁদেরও আপত্তি নেই৷

এদিকে রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু যথারীতি বলেছেন, নির্বাচনে তাঁদের এই বিপর্যয়ের কারণগুলি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন৷ তার পরই ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থির করবে বামেরা৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন