1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে ফের প্রবল ঝড়, মৃত ৩

২৮ মে ২০২০

আমফানের পর এ বার ভয়ঙ্কর কালবৈশাখী আছড়ে পড়লো পশ্চিমবঙ্গে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ছিলো ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার।

https://p.dw.com/p/3crxw
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/I. Aditya

তীব্র গতির হাওয়া এবং বৃষ্টি  ফিরিয়ে আনলো আমফানের স্মৃতি। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে ঝড়ের দাপটে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আবার প্রচুর গাছ পড়লো।  হুগলির আরামবাগে গাছ পড়ে একজন এবং দুর্গাপুরে বাজ পড়ে একজন মারা গিয়েছেন। সিইএসসি কর্মীদের গাফিলতিতে গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন একজন দমকলকর্মী। কলকাতায় আবার বিদ্যুতের তার জড়িয়ে নিয়ে গাছ পড়েছে। ফলে আবার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষের কষ্ট আরও বেড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এমনিতেই বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। বুধবারের ঝড়-বৃষ্টি সেখানে সমস্যা আরও বাড়িয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, এই ঝড়-বৃষ্টি আগামী দুই-তিন দিন চলবে। 

সাধারণত ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী হয় না। অন্তত সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতায় এমনটা ঘটেনি। কলকাতায় সেটিই ঘটলো। ফলে যে গাছগুলি আমফানের তাণ্ডবে দাঁড়িয়ে থাকলেও দুর্বল হয়ে গেছিল, সেগুলি পড়ে গিয়েছে। গড়িয়াহাট, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, লেক রোড, বেলেঘাটা, কাশীপুর, চিৎপুর লকগেট সহ বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়েছে। বাতিস্তম্ভও ভেঙেছে। কোনও কোনও এলাকায় ঝড় হয়েছে ৪০ মিনিট। তবে ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার গতিতে ঝড় হয়েছে মিনিটখানেকের মতো। তাতেই আবার এত গাছ পড়ে গিয়েছে।

উপকূলবর্তী এলাকার জন্য দুঃসংবাদ হলো, এখানে আবার ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।  তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে মানা করে দেওয়া হয়েছে। তবে আবহাওয়া অফিসের মতে, বুধবার ঘূর্ণিঝড় হয়নি, আগামী কয়েকদিনেও তা হবে না। বিহার থেকে উত্তর পূর্ব ভারতের নাগাল্যান্ড পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। সেটি দক্ষিণবঙ্গের দিকে সরে আসায় এই ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে এবং আরও হতে পারে।

শুধু কলকাতা বা দুই ২৪ পরগনা নয়, এ দিনের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরুলিয়া, বর্ধমানের মতো জেলাগুলিও। সেখানেও প্রচুর গাছ পড়েছে এবং বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে। আমফানের প্রভাব এই জেলাগুলিতে খুব বেশি পড়েনি। কিন্তু কালবৈশাখী এই জেলাগুলিকেও ছাড়েনি।

ডিএইচ/এসজি(এএনআই, আবাপ)