1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে ‌বাম-কংগ্রেস জোট

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২৯ জানুয়ারি ২০২১

পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের নির্বাচনি জোট শেষ পর্যন্ত হলো৷ ১৯৩ আসনে সমঝোতার সিদ্ধান্তও৷ তবু কিছু ‘‌কিন্তু’ রয়ে গেছে দুই পক্ষের বোঝাপড়ায়৷

https://p.dw.com/p/3oZdW
অধীর রঞ্জন চৌধুরি
জোটের ঘোষণা দেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরি (ফাইল ছবি)ছবি: Sandip Saha/Pacific Press Agency/Imago Images

পশ্চিমবঙ্গের মোট ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৯৩ আসনে আপাতত সমঝোতা হয়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের৷ তার মধ্যে সিংহভাগ, ১০১টি আসনে প্রার্থী দেবে বামেরা৷ রাজ্য বামফ্রন্টের সম্পাদক বিমান বসুকে পাশে নিয়ে ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরি৷ এই ১৯৩ আসনের মধ্যে ২০১৬ সালে ৪৪টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস এবং ৩৩টি আসনে বামেরা৷ সেই ৭৭টি আসন ছাড়াও কংগ্রেস আরো ৪৮ আসনে এবং বামেরা আরো ৬৮টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে অধীর রঞ্জন চৌধুরি সেদিনই জানিয়ে দেন৷ কিন্তু রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো, কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ এই সমঝোতায় খুশি নয়৷ ফলে জোটের সাফল্য কিছু জায়গায় অবশ্যই বাধা পাবে, যার ফায়দা লুটবে বিজেপি৷

অনেকেই চায় না, জোটটা হোক: প্রদীপ ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা

বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য সরাসরি বলেই দিলেন, ‘‌‘‌অনেকেই চায় না, জোটটা হোক৷ তাদের একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে বিজেপির সঙ্গে৷ (‌কংগ্রেস)‌ একা ফাইট করলে বিজেপি ‘‌সুইপ’ করবে৷ এই সব অনেক কিছুর বিরুদ্ধে ফাইট করতে হচ্ছে৷’’ যদিও প্রদীপবাবু বলছেন, এখনো পর্যন্ত আসন সমঝোতা যা হয়েছে, তা চূড়ান্তই৷ বিশেষত আগেরবার জেতা ৭৭টি আসন কোনো সমস্যাই নয়৷ বাকি আসনগুলো নিয়ে এর পর আলোচনা চলবে৷ ফেব্রুয়ারির শেষে বাম–কংগ্রেসের যৌথ ব্রিগেড সমাবেশ৷ তার আগেই কি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে? প্রদীপ ভট্টাচার্য আশাবাদী যে, তার অনেক আগেই সমঝোতা পাকাপোক্ত হবে৷
এক সময়ের প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের সঙ্গে এই সহযোগিতা, সমঝোতা বামেরা কিভাবে দেখছে?‌ সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, কেন্দ্রে যেমন বিজেপি, রাজ্যে তেমনই তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের শত্রু৷ এদের দুজনের বিরুদ্ধেই লড়াইটা জরুরি৷ এবং পশ্চিমবঙ্গে লোকে তৃণমূলের অপশাসনের থেকে রেহাই পেতেই এখন বিজেপি–কে চাইছে৷ তা ছাড়াও, সুজনবাবুর কথায়, ‘‌‘ভারতবর্ষের বিবেচনায়‌ বিজেপি আরো বড় বিপদ৷ কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা না করে বিজেপির বিরোধিতা করা যাবে না৷ কারণ, তৃণমূলের ওপর রাগ করেই তো বিজেপিতে যাচ্ছে৷ ফলে এই দুটো শক্তির বিরুদ্ধে সবাই একজোট হোক, এটা হচ্ছে আমাদের মূল কথা৷ এটা কংগ্রেস আর সিপিএম-এর জোটের ব্যাপার না৷’’

বিজেপি আরও বড় বিপদ: সুজন চক্রবর্তী, সিপিআইএম নেতা

আরো একটা ব্যাপারেও কংগ্রেস এবং বামেরা এই সময়ে দাঁড়িয়ে একমত৷ বিজেপি যেভাবে জাতপাতের রাজনীতি নিয়ে এসেছে বাংলায়, যেভাবে ভূমিপুত্র-বহিরাগত, সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু, ব্রাহ্মণ-দলিত, অথবা সরাসরি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু হয়েছে, তা আটকানো দরকার৷ সেই জায়গা থেকেই নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করছেন তারা, যা তৃণমূল নেত্রীর ক্ষোভের কারণ হয়েছে৷ বাম-কংগ্রেসের জোটের খবরে মমতা বলেছেন, এতে তাদের কিছু আসে যায় না৷ অর্থাৎ, তার ধারণা বিজেপিবিরোধী ভোট তিনিই পাবেন৷ 

২০১৮ সালের অক্টোবরের ছবিঘরটি দেখুন...