1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে অনিশ্চয়তা

২ জুন ২০২১

এ বছর পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ল। সরকার নতুন কমিটি তৈরি করেছে।

https://p.dw.com/p/3uKE8
মাধ্যমিক
ছবি: DW/P. Samanta

মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্রীয় বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে। তার পরেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ে। করোনার জন্য দশম শ্রেণির মাধ্যমিক এবং দ্বাদশ শ্রেণির উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আগেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, জুলাই মাসে উচ্চ মাধ্যমিক এবং অগাস্ট মাসে মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। বুধবার পরীক্ষার সূচি ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকার জানিয়েছে, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তারা জানাবে, আদৌ পরীক্ষা হবে কি না।

মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে এ বছর প্রায় ২১ লাখ ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা। সাধারণত এপ্রিল মাসের মধ্যে সমস্ত পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। ফলাফল ঘোষণার পরে নতুন ক্লাসও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু গত বছর থেকে সেই নিয়মে অনিয়ম শুরু হয়েছে। করোনার কারণে একের পর এক পরীক্ষা পিছিয়েছে। বাতিলও হয়েছে। এ বছরের পরীক্ষা কী ভাবে হবে, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত কিছুদিন আগে রাজ্য সরকার জানায়, দুইটি পরীক্ষাই হবে, তবে নিয়মের কিছু বদল হবে। নম্বর কমিয়ে এবং সময় কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। বুধবার সেই পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করার কথা ছিল।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই ঘোষণা করে দেন, এ বছর কেন্দ্রীয় বোর্ডের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে না। তারপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কেন্দ্রীয় বোর্ডের পরীক্ষা না হলে রাজ্য বোর্ডের পরীক্ষা কী ভাবে হবে? সে ক্ষেত্রে পরবর্তী ভর্তির প্রক্রিয়াই বা কী ভাবে হবে? নাম প্রকাশ করা যাবে না এই শর্তে রাজ্যের এক শীর্ষ মন্ত্রী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে রাজ্যের পক্ষে পরীক্ষা নেওয়া কঠিন। রাজ্য পরীক্ষা নিলে একজন ছাত্রও যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠবে। তাছাড়া ভর্তি প্রক্রিয়াতেও মুশকিল হবে।

রাজ্য অবশ্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। যেখানে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যদ, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, চিকিৎসক, মনোবিদ এবং শিশু অধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা আছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করে তারা সিদ্ধান্ত জানাবেন।

পরীক্ষা না হলে সারা বছরের পারফর্ম্যান্সের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বোর্ডের ক্ষেত্রে সেই কাজটিই করা হবে।

দ্রুত এই জট না কাটলে ছাত্রছাত্রীদের এক বছর নষ্ট হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, উচ্চমাধ্যমিকের পরে অনেকেই বিদেশে পড়তে চলে যায়। অ্যামেরিকা এবং ইউরোপের বহু বিশ্ববিদ্যালয়েই এ বছর ঠিক সময়েই নতুন সেশন শুরু হয়ে যাচ্ছে। ফলে দ্রুত ফলাফল হাতে না পেলে ছাত্রছাত্রীরা সে সব জায়গায় ভর্তি হতে পারবে না। গত কয়েক মাস ধরে পরীক্ষা নিয়ে এই বিভ্রাট চলার কারণে উৎকণ্ঠায় ভুগছে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। সে বিষয়টিও সরকার মাথায় রেখেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)