1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘হুট করে সম্পন্ন ছিন্ন করা ঠিক না'

সমীর কুমার দে, ঢাকা২৩ ডিসেম্বর ২০১৫

ইউরোপীয় ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কারখানা পরিদর্শন জোট ‘অ্যাকর্ড’ আরো পাঁচটি কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে৷ এই কারখানাগুলিকে সংস্কার পরিকল্পনা জমা দিতে তাগাদা দেয়া হলেও, তারা নাকি তা জমা দেয়নি৷

https://p.dw.com/p/1HSI0
Bangladesch Textilindustrie
ছবি: AP

[No title]

বাংলাদেশের কোনো কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা এটাই অবশ্য প্রথম নয়৷ এর আগেও আরো তিনটি কারখানার সঙ্গে একইভাবে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছিল৷ এ বিষয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এভাবে হুট করে সম্পর্ক ছিন্ন করা ঠিক নয়৷ কোনো ফ্যাক্টরি যদি সংস্কার পরিকল্পনা বা কারেকটিভ অ্যাকশন প্ল্যান (ক্যাপ) জমা না দেয়, তাহলে তারা আমাদের কাছে জানাবে৷ কারণ অ্যাকর্ড-এর সঙ্গে আমাদের যে সমঝোতা রয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে, আমরা না পারলে সরকার বা শ্রম মন্ত্রণালয় রয়েছে, তারাও দেখবে৷ তারপরও যদি না হয়, তবেই তারা সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে৷ কিন্তু এই পাঁচটি গার্মেন্টসের ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করা হয়নি৷ এখানে যাই করা হোক না কেন আমাদের সঙ্গে নিয়ে করতে হবে৷ অ্যাকর্ড বা অ্যালায়েন্স এককভাবে কিছু করতে পারবে না৷ কোনো ‘বায়ার' বা ক্রেতা যদি কারো সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায়, তারা সেটা করতে পারে৷ কিন্তু এককভাবে অ্যাকর্ড বা অ্যালায়েন্স এটা পারে না৷''

সর্বশেষ ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা এই পাঁচটি কারখানা হলো – চট্টগ্রামের ক্যালভিন ফ্যাশন, চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার কুপার কোম্পানি লিমিটেড, আশুলিয়ার আলফা নিট অ্যাপারেলস, রাজধানীর মগবাজার এলাকার জেয়সি'জ অ্যাপারেল ও নারায়নগঞ্জের সিনসিয়ার নিট গার্মেন্টস৷ শুধু তাই নয়, কারখানার নিরাপত্তা মান উন্নয়নের লক্ষ্যে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় সময়মত কার্যকর অগ্রগতিতে ব্যর্থ হওয়ায় আরো একশ'টি তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছে অ্যাকর্ড৷ এ সব কারখানার অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, ভবনের কাঠামো ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা মান উন্নয়ন করতে সংস্কারের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হলেও, তারা ‘ক্যাপ' বাস্তবায়নে ব্যর্থ হওয়ায় কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷

অ্যাকর্ড-এর বিবৃতিতে বলা হয়, এ সব কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো পরিদর্শন করা হয়৷ ত্রুটি সংশোধনের লক্ষ্যে কারখানাগুলো সময়মত কারেকটিভ অ্যাকশন প্ল্যান বা ক্যাপ জমা দিতে ব্যর্থ হয়৷ ফলে তাদের সঙ্গে আর ব্যবসায়িক সম্পর্ক রাখা সম্ভব হচ্ছে না৷

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ১১শ'র বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার পর, বাংলাদেশি কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় ইউরোপ ও অ্যামেরিকার ব্র্যান্ডগুলোর সমন্বয়ে গঠিত দু'টি জোট৷ অ্যাকর্ড-এ স্বাক্ষরকারী ১৯২টি ব্র্যান্ডের কাছে পোশাক রপ্তানি করে এমন ১ হাজার ৫শ' কারখানা পরীক্ষা ও সংস্কার কাজ তদারক করছে অ্যাকর্ড৷ আগামী ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ সব কারখানার সংস্কার কাজ তদারক করতে অ্যাকর্ড-এ স্বাক্ষরকারী ব্র্যান্ডগুলো চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷ অ্যাকর্ডঅ্যালায়েন্স-এর পরিদর্শনে ঝঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ইতিমধ্যেই ৩৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশে৷ সর্বশেষ ৮টি কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করল অ্যাকর্ড৷

বন্ধুরা, এভাবে হুট করে ৫টি কারখানার সঙ্গে সম্পন্ন ছিন্ন করা কি ঠিক হয়েছে অ্যাকর্ড-এর? জানান আপনার মতামত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান