1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিক অপহরণের চেষ্টা!

১১ জানুয়ারি ২০১৮

পাকিস্তানের বিশিষ্ট  সাংবাদিক তাহা সিদ্দিকিকে অপরহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে৷ অভিযোগের আঙুল সে দেশের সেনাবাহিনীর দিকে৷ তাহা সিদ্দিকি সেনাবাহিনীর সমালোচক হিসেবে সুপরিচিত৷ ভারতের একটি সংবাদসংস্থাতেও কাজ করেন  তিনি৷

https://p.dw.com/p/2qfUD
Pakistan - Journalist Taha Siddiqui
ছবি: Sara Farid

আবার অভিযোগ পাকিস্তান সেনার বিরুদ্ধে৷ এবার টার্গেট সাংবাদিক৷ পাকিস্তানের বিশিষ্ট সাংবাদিক তাহা সিদ্দিকি অভিযোগ করেছেন, রাওয়ালপিণ্ডি বিমানবন্দর থেকে ফেরার সময় তাঁর উপর হামলা চালায় বেশ কয়েকজন৷ তাহা'র ধারণা, তাঁকে অপহরণ করতে চেয়েছিল ওই হামলাকারীরা৷ অল্পের জন্য তাদের হাত থেকে রক্ষা পান তিনি৷ আপাতত তাহা পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে৷ তাঁর এক বন্ধু টুইটে জানান, তাহা এখন নিরাপদ৷

ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের পাকিস্তান বিভাগীয় প্রধান তাহা৷ ফ্রান্স ২৪ চ্যানেলের জন্যও কাজ করেছেন তিনি৷ ২০১৪ সালে ফরাসি সরকার সাংবাদিকতায় ফ্রান্সের সেরা পুরস্কারটি দেয় তাঁকে৷ বরাবরই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেন তাহা৷ দেশে-বিদেশে সে বিষয়ে বিভিন্ন সময় নানারকম মন্তব্যও তিনি করেছেন৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, সে কারণেই বহুদিন ধরে তাহা'র উপর আক্রোশ ছিল পাক সেনাবাহিনীর আর তারাই তাহা'কে অপহরণের চেষ্টা করেছে৷

Screenshot Twitter Pakistanischer Journalist Taha Siddiqui
ছবি: Twitter/Asad Hashim

বস্তুত, তাহা'র উপর এই আক্রমণের পর পাকিস্তানের সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন এবং বেশ কয়েকটি এনজিও এর তীব্র প্রতিবাদ করে৷ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ‘স্টপএনফোর্সডডিসঅ্যাপিয়ারেন্স' হ্যাশট্যাগ ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে৷ শুধু তাই নয়, রাওয়ালপিণ্ডি সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে৷ মন্ত্রীও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন৷

তবে পাকিস্তানে এহেন হামলার ঘটনা প্রথম নয়৷ এর আগেও দেশের সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ হয়েছে৷ বেলুচিস্তানে বেশকিছু সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে ফরমান জারি করেছে কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী৷ কিছুদিন আগে দেশের আরেক সাংবাদিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে ভয়ংকরভাবে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল৷ অপহৃত হয়েছিলেন চারজন ব্লগার৷ পরে তাঁরা মুক্তি পেলেও কেউ সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেই ঘটনাতেও সেনাবাহিনীর হাত ছিল৷

এসজি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য