1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের নতুনদিল্লি সফর

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সালমন বশির বুধবার নতুনদিল্লি পৌঁছেছেন৷ দুই হাজার আট সালে মুম্বই এ সন্ত্রাসী হামলার পর এই প্রথম পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সচিব পর্যায়ে সরকারি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে ভারতের রাজধানীতে৷

https://p.dw.com/p/MA6n
সংলাপের এই নতুন প্রয়াস কি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথ প্রশস্ত করে দেবে?ছবি: AP

মুম্বই হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেঙে যায়৷ ভারত আলোচনা ভেঙে দেয় হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগে৷ ভারত বলেছে, তার সীমান্তে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতার ব্যাপারে ভারতীয় উদ্বেগ সম্পর্কে পাকিস্তান কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, এই বিষয়টি বিবেচনার পরই সে আবার আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বশির ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও এর সাথে বৃহস্পতিবার নতুনদিল্লিতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে এক বৈঠকে মিলিত হবেন৷ পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করে শান্তি আলোচনা আবারো শুরু করায় সহায়তা করার জন্য৷ সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া-পিটিআই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভারত একদিনের আলোচনায় অংশ নেবে খোলাখুলি মন নিয়ে৷ তবে সীমিত প্রত্যাশায়৷ ঐ কর্মকর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন, দুই পক্ষ কোন যুক্ত বিবৃতি প্রকাশ করবে না৷

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংলাপ শুরু হয় দুই হাজার চার সালে কাশ্মীর নিয়ে আঞ্চলিক সমস্যা সহ সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক প্রশ্ন নিয়ে আলোচনার জন্য৷

বৃহস্পতিবার আলোচনা শুরু হওয়ার আগে ভারত পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় অবস্থানে সে দেশের সীমান্ত প্রহরীদের গোলা বর্ষণের জন্য৷ তবে সীমান্তে উত্তেজনা এবং ভারতী নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ হ্রাস পেয়েছে দুই হাজার চার সালে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে৷

পাকিস্তান চাইছে ভারতের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব ব্যাপকভিত্তিক সংলাপ৷ কিন্তু ভারত জোর দিয়ে বলেছে, বৃহস্পতিবার বশির ও রাও এর মধ্যে আলোচনায় প্রধান বিষয় হবে সন্ত্রাসবাদ৷ কারণ মাত্র এক সপ্তাহ আগে পুনেতে একটি রেস্টুরেন্টে বোমা হামলা হয়েছে-যাতে মারা গেছে ষোলো ব্যক্তি৷ তবে ভারত এ জন্য এখনো কোন বিশেষ গ্রুপকে দায়ী করে নি৷

প্রতিবেদক : আবদুস সাত্তার, সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক