1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলা নিহত ৫৪

৪ সেপ্টেম্বর ২০১০

পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে শুক্রবার এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়েছেন৷ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৬০ জন৷ শিয়া মুসলমানদের একটি শোভাযাত্রায় এই বোমা হামলা চালানো হয়৷

https://p.dw.com/p/P448
শুক্রবার কোয়েটায় বোমা হামলাছবি: AP

এই চলতি সপ্তাহে দুটি বড় ধরনের বোমা হামলা চালানো হলো শিয়াদের ওপর৷ গত বুধবার লাহোরে শিয়াদের আরেকটি শোভাযাত্রায় চালানো বোমা হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছেন৷ পাকিস্তানে ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ কোটি মানুষ যখন জীবন বাঁচাতে লড়ছেন তখনই পরপর দুটি বোমা হামলা হলো দেশটিতে৷ পাকিস্তান সরকারকে চাপের মধ্যে রাখতে শিয়াদের ওপর প্রায়ই হামলা চালাচ্ছে সুন্নি সমর্থিত আল কায়েদা জঙ্গিরা৷ আল কায়েদা জঙ্গিরা এই বোমা হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে এবং শুক্রবার সকালে লাহোরে বোমা হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে তারা৷

NO FLASH Anschlag Quetta Pakistan
বিস্ফোরণের পর আতঙ্গগ্রস্থ মানুষছবি: AP

এই দায়িত্ব স্বীকারের পাশাপাশি আল কায়েদা, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে শিগগিরি হামলা চালানোর হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছে৷ ফিলিস্তিনের জনগণের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে, শিয়া ইসলামিয়া ছাত্র সংগঠন আয়োজিত শোভাযাত্রায় শুক্রবার এই বোমা হামলা চালানো হয়৷ প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার শিয়ারা পাকিস্তানে এই শোভাযাত্রা বের করে৷

এদিকে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার ধাক্কা ও ক্ষতি কাটিয়ে ওটার আগেই এই দুই বোমা হামলা পাকিস্তান সরকারকে ফেলেছে চাপের মধ্যে৷ যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়াদের ওপর এই হামলাকে তিরস্কারযোগ্য অপরাধ বলে অভিহিত করে হামলার নিন্দা জানিয়েছে৷

পাকিস্তানের পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা হামিদ শাকিল কোয়েটায় বোমা হামলায় ৫৪ জন নিহত এবং প্রায় ১৬০ জন আহত হবার খবর নিশ্চিত করেছেন৷ শোভাযাত্রায় হামলায় হতাহতদের পাশাপাশি বহু যানবাহনে আগুন ধরে যায়৷ আর এর কয়েক ঘন্টা পরেই আল কায়েদা হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বলে, শিয়াদের হাতে কট্টরপন্থী সুন্নি নেতাদের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে৷

পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় তালেবান নেতা এবং আত্মঘাতী বোমা হামলার পরামর্শদাতা ক্বারী হুসেইন মেহসুদ রয়টার্সকে বলেন, কোয়েটায় বোমা হামলার দায়িত্ব স্বীকার করতে আমরা গর্ব বোধ করছি৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী