1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরিফ ফিরে আসায় খুশি ভারত

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৩ মে ২০১৩

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে নওয়াজ শরিফ তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে চলেছেন৷ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করার কথা বলেছেন তিনি৷ তাতে খুশি ব্যক্ত করেছে ভারতের শাসক ও বিরোধী দল৷

https://p.dw.com/p/18WzE
Supporters of former Pakistani Prime Minister and head of the Pakistan Muslim League-N (PML-N), Nawaz Sharif, carry portraits of Sharif as they celebrate the victory of their party a day after landmark general elections, in Lahore, on May 12, 2013. Pakistani election winner Nawaz Sharif was in talks today to form a new government, with fixing the shattered economy and tackling Islamist militancy likely to be his two biggest challenges. US President Barack Obama welcomed the 'historic, peaceful and transparent transfer of civilian power', saying Washington was ready to work 'as equal partners' with the new government. AFP PHOTO / ARIF ALI (Photo credit should read Arif Ali/AFP/Getty Images)
ছবি: Arif Ali/AFP/Getty Images

পাকিস্তানের নির্বাচনে পিএমএল (এন) নেতা নওয়াজ শরিফের জয়লাভে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁকে ভারত সফরের আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং৷ শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিরোধী দল বিজেপিও৷ আর ভারতে নওয়াজ শরিফের পৈত্রিক ভিটায় মানুষজনের চোখে মুখে উপচে পড়া আনন্দ৷

নির্বাচনের আগে এবং পরে নওয়াজ শরিফ জোর দিয়ে বলেছেন, ১৯৯৯ সালের ছেঁড়া সুতো আবারো জোড়া দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন পর্ব শুরু করবেন তিনি৷ কাশ্মীরসহ যাবতীয় ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানে প্রয়াসী হবেন৷ এমনকি, তিনি এ কথাও বলেছেন যে, ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ এবং ১৯৯৩ সালে মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণকাণ্ডে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছিল, তার তদন্ত রিপোর্ট নতুন দিল্লির সঙ্গে ‘শেয়ার' করতেও তাঁর আপত্তি নেই৷

Nawaz Sharif, the leader of Pakistan Muslim League - Nawaz (PML-N) points as he speaks to foreign reporters at his residence in Lahore May 13, 2013. Sharif, who is poised for victory after Pakistan's May 11 election, said he had spoken at length with Prime Minister Manmohan Singh of rival India and would work to ease mistrust. REUTERS/Damir Sagolj (PAKISTAN - Tags: ELECTIONS POLITICS)
নওয়াজ শরিফছবি: Reuters

ভারতীয় পত্র-পত্রিকার হেডলাইনে ‘‘আমন কি আশা'', অর্থাৎ শান্তির আশা আবার স্থান পেলেও অতিরিক্ত প্রত্যাশা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে, অন্তত অতীত অভিজ্ঞতার কথা ভেবে৷ ভোটের সময় যা বলা হয়, ক্ষমতায় বসার পর পুরো প্রচ্ছদপট যায় পাল্টে৷ বেনাজির ভুট্টো ভোটের সময় ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার কথা বলেছিলেন, কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তিনি হয়ে যান সেনাবাহিনী, আইএসআই এবং মৌলবাদীদের হাতের পুতুল৷ তাদের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া কিছুই করতে পারেননি৷ ১৯৯৯ সালে নওয়াজ শরিফ ও অটলবিহারি বাজপেয়ীর লাহোর বাসযাত্রা ভেস্তে গিয়েছিল সেনাবাহিনী নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ায়৷

ভারতীয় বিশ্লেষকরা মনে করেন, গদিতে বসার পর নওয়াজ শরিফের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে তার মোকাবিলা করতে তিনি কতটা সফল হবেন – সেটাই আসল প্রশ্ন, বিশেষ করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, অর্থনীতি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রেক্ষাপটে৷ দুর্নীতি, বিদ্যুৎসহ অবকাঠামোর বেহাল দশা, আর্থিক ভাঁড়ার তলানিতে৷ তারওপর আছে তালিবানি সন্ত্রাস৷ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাস দমনে কতটা সক্ষম হবেন তিনি, সেটাই হবে ভারতের চোখে নওয়াজ শরিফের সাফল্যের মাপকাঠি৷

তবে আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি করতে ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো যে জরুরি, সেটা উনি ভালোই বোঝেন৷ নওয়াজ শরিফ নিজে একজন ব্যবসাদার৷ কাজেই এক্ষেত্রে তিনি স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে ভারতকে সবথেকে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দেবেন বলে আশা করা যায়৷ অবশ্য যতক্ষণ তা বাস্তবে না হচ্ছে কিছুই বলা যায় না৷ কথায় বলে, ‘‘না আঁচালে বিশ্বাস নেই''৷

ভারত-পাকিস্তান ঐতিহাসিক সম্পর্কের মাটিটা বড় জটিল৷ কোনো একজন নেতার পক্ষে নাটকীয় পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়, যদি না দেশের রাজনীতির লাগাম সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকে৷ অন্যদিকে, ভারতের মনমোহন সিং সরকারের অবস্থাও টলমল দুর্নীতি আর প্রশাসনিক দুর্বলতায়৷ সে জন্য আগামী বছরে সাধারণ নির্বাচনের আগে ভারত-পাক সম্পর্কে হয়ত গতি আসবে না৷ আর তাই সতর্ক পদক্ষেপই ফেলবে দিল্লি এবং ইসলামাবাদ, এমনটাই মনে করছেন ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য