পাকিস্তানে নিরাপত্তা ক্যাম্পে জঙ্গি হামলা
১৯ মে ২০১০উত্তরপশ্চিমের ওরাকজাই শহরে হামলার ঘটনাটি ঘটে৷ প্রায় ২০০ জঙ্গি রকেট চালিত গ্রেনেড ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে হামলা করে একটি নিরাপত্তা ক্যাম্পে৷ তবে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ট্যাঙ্ক দিয়ে এর জবাব দেন নিরাপত্তা কর্মীরা৷ ফলে ঘটে যায় সংঘর্ষ৷ আর তাতে কমপক্ষে ৬০ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা৷ অবশ্য মারা যান দুই সেনাসদস্যও৷
বন জঙ্গল আর পাহাড়ে ঘেরা ডোব্বারি এলাকায় অবস্থিত ঐ নিরাপত্তা ক্যাম্পটিতে আজ ভোরে জঙ্গিরা হামলা করে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা নোমান খান৷
উল্লেখ্য, পাকিস্তান থেকে জঙ্গি উচ্ছেদ করতে সরকার সাম্প্রতিক সময়ে ওরাকজাই সহ খাইবার অঞ্চলে অভিযান শুরু করে৷ এর ফলে জঙ্গিরাও মাঝে মাঝে এ ধরণের হামলা চালিয়ে তার জবাব দেয়ার চেষ্টা করে৷ এর আগে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের অন্যান্য শক্তিশালী ঘাঁটিতেও অভিযান চালিয়েছিল৷
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের চাপেই পাকিস্তান সরকার এ ধরণের অভিযান শুরু করেছিল৷ এখন সেই অভিযান দ্বিগুন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র৷ আর সেজন্য দেশটির দুই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা এখন ইসলামাবাদ সফর করছেন৷ এরা হলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেমস জোনস এবং সিআইএ পরিচালক লিয়ন পানেত্তা৷ ইতিমধ্যে তাঁরা আলোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে৷ এরপর তাদের বৈঠক করার কথা রয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান সহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে৷
এমাসের ১ তারিখে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে একটি গাড়িতে যে বোমা পাওয়া গিয়েছিল তার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ফয়সাল শাহজাদ নামের এক পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, ফয়সাল বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ নিতে ওয়াজিরিস্তান গিয়েছিলেন৷ আফগান সীমান্তে অবস্থিত এই অঞ্চলটি আল কায়েদার সদর দপ্তর বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র৷ এরপর থেকেই মূলত জঙ্গি অভিযান দ্বিগুন করার কথা ভাবতে শুরু করে ওয়াশিংটন৷ হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বিষয়টিকে এভাবেই ব্যাখ্যা করেন বার্তা সংস্থা এএফপি'র কাছে৷
এদিকে গ্রেফতারের পর শাহজাদকে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো ম্যানহ্যাটানের একটি আদালতে হাজির করা হয়৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ