1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে পোলিও-কেন্দ্রে গুলি, পুলিশ কর্মী হত

১৩ জানুয়ারি ২০২১

উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি পোলিও কেন্দ্রে হামলা সশস্ত্র বাইক-আরোহীদের। গুলিতে মৃত পুলিশ কর্মী।

https://p.dw.com/p/3nqQS
পাকিস্তানে পোলিও ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। ছবি: picture alliance/AA

খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের প্রত্যন্ত শহর কারাক। সেখানেই চলছিল পোলিওর বিরুদ্ধে অভিযান। এখানে গত বছর ১৫টি বাচ্চা পোলিওতে আক্রান্ত হয়েছিল। পোলিও রুখতে একটি কেন্দ্রে টিকা দিচ্ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। 

কারাকের পুলিশ অফিসার মোহাম্মদ ইশহাক খান ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''পুলিশ যখন স্বাস্থ্যকর্মীদের এসকর্ট করে টিকাকেন্দ্রে নিয়ে আসছিল, তখনই সেখানে  হামলা করে সশস্ত্র বাইক-আরোহীরা। তারা গুলি চালায়। আমাদের সহকর্মী জুনেইদ উল্লাহ মারা যান। যে গাড়িতে পোলিও কর্মীরা ছিলেন, সেখানেও তারা গুলি চালায়।''

তিনি বলেছেন, পুলিশ এখন ওই দুই অপরাধীর খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে। একদিনের জন্য টিকা দেয়ার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

পাকিস্তানে এখন পোলিও টিকা দেওয়ার অভিযান চলছে। জেশজুড়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী চার কোটি বাচ্চাকে পোলিও টিকা দেয়া হচ্ছে। দুই লাখ ৮৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী টিকা দেয়া ও ব্যবস্থাপনার কাজ করছেন।

ভ্যাকসিন বিরোধী প্রচার

অতীতেও দেখা গেছে, পোলিও ভ্যাকসিন দেয়ার কাজে নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। কিছু চরমপন্থী সংগঠন এই ধরনের আক্রমণ চালায়।

তালেবানের দাবি, এই ধরনের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলি চরবৃত্তি চালায়। তাদের অভিযোগ, বর্তমানে জেলে বন্দি চিকিৎসক শাকিল আফ্রিদি হেপাটাইটিস ভ্যাকসিন দেয়ার নাম করে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সম্পর্কে খবর নিয়েছিলেন এবং  সিআইএ-কে সেই খবর দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। তারপর মার্কিন স্পেশাল ফোর্স ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানে গিয়ে লাদেনকে হত্যা করে।

সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ রহিমুল্লাহ ইউসুফজাই ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''পাকিস্তানের ওই অঞ্চলে প্রচার করা হয়, পোলিও ভ্যাকসিন দেয়া আসলে বিদেশিদের উদ্যোগ।''

পোলিও বাড়ছে পাকিস্তানে

পোলিও এখন দুইটি দেশে দেখতে পাওয়া যায়, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে। গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে পোলিও আক্রান্ত বাচ্চার সংখ্যা বেড়েছে। ৬৮ জন সম্প্রতি পোলিওয় আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণত, পাঁচ বছরের কম বয়সীরাই পোলিওতে আক্রান্ত হয়। মেরুদণ্ডে সংক্রমণ দেখা দেয়। তার ফলে প্যারালিসিস হয়।

পাকিস্তানে ২০১৭ সালে আটটি এবং ২০১৮ সালে ১২টি পোলিওর ঘটনা ধরা পড়ে। কিন্তু ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ১৪৮। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানে প্রথম পোলিও অভিযান শুরু হয়। তখন পাকিস্তানে ২০ হাজার বাচ্চা প্রতি বছর পোলিওতে আক্রান্ত হতো। দশ বছর পর অর্থাৎ, ২০০৪ সালে পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ শতাংশ কমে।

করোনার পর সরকারের নজর পোলিও থেকে কোভিড থামাবার দিকে যায়। ফলে আবার পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই এখন সারা দেশে পোলিও ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, ডিপিএ, এএফপি)