1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে বন্যায় নিহত ৮০০, আফগানিস্তানে ৬৫

৩১ জুলাই ২০১০

পাকিস্তান আফগানিস্তানে ভয়াবহ বন্যা৷ মৃতের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে৷ দিশেহারা দু’দেশের সরকার৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা নেমেছে উপদ্রুত এলাকায়৷৩৬ ঘন্টায় ১২ ইঞ্চি ঘন বর্ষায় গৃহহীন লাখ দশেক মানুষ৷

https://p.dw.com/p/OYza
পাকিস্তানে বন্যার মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষছবি: ap

সর্বশেষ যে খবর, তাতে মৃতের সংখ্যা আট শতাধিক৷ আনুষ্ঠানিক হিসেবে শুধু একটি অঞ্চলে এখনো নিখোঁজ ১৫০ জন৷ বন্যা কবলিত পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের তথ্যমন্ত্রী ইফতেখার হোসেন জানিয়েছেন এই তথ্য৷

উদ্ধারকর্মী এবং সেনা সদস্যরা বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে৷ কিন্তু ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট এই বন্যায় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ধসে গেছে৷ টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বন্যা কবলিত এলাকায় বাড়িঘরের ছাদে অবস্থান নিয়েছে সাধারণ মানুষ৷ অনেকে আবার পিঠে সন্তান নিয়ে পানির মধ্য দিয়েই হেঁটে চলেছেন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে৷ রাস্তাঘাট ভেঙ্গে পড়ায় প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ার এখন কার্যত পাকিস্তানের অন্যান্য শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে৷ সোয়াত ভ্যালীতে ছুটি কাটাতে যাওয়া প্রায় ৩ হাজার পর্যটকও আটকা পড়ে গেছেন৷

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেও বন্যার প্রভাব ভয়াবহ৷ বন্যা আর ভূমিধসের কারণে চীনের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র পথ বন্ধ৷ জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতির শিকার হয়েছে লাখ দশেক মানুষ৷ ৪৫টি ব্রিজও ধংস হয়ে গেছে৷

এদিকে, আফগানিস্তানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে হঠাৎ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৬৫ জন, ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার পরিবার৷ সেদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রধান আব্দুল মতিন জানিয়েছেন এই তথ্য৷ বন্যায় কাপিশা প্রদেশে সর্বোচ্চ ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছে৷ তবে, ন্যাটো এবং আফগান হেলিকপ্টার ব্যবহার করে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে৷ আর যে কারণে বন্যা, মানে ভারী বৃষ্টিপাত, সেটাও থেমে গেছে বলে জানিয়েছেন মতিন৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়