1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা: ৫০ জন নিহত

৫ নভেম্বর ২০১০

পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলেএকটি সুন্নি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় শুক্রবার অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন৷ আহত হয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি৷ জুম্মার নামাজ চলাকালে দাররা আদম খেল এলাকার মসজিদে এই বোমা হামলা চালানো হয়

https://p.dw.com/p/PzhE
ফাইল ছবিছবি: AP

পাকিস্তানের মসজিদগুলোতে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে৷ শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যেকার রেষারেষির জন্যেই কখনও শিয়া মসজিদে হামলা চালানো হচ্ছে, কখনও হামলা চালানো হচ্ছে সুন্নি মসজিদে৷ পাকিস্তানের সুন্নি এবং শিয়া মসজিদে একের পর এক হামলার এটিই সর্বশেষ ঘটনা৷

প্রতিবেশী জেলা কোহাটের প্রশাসক খালিদ খান ওমেরজাই বলেছেন, যে-আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তার বয়স ১৪ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে৷ তিনি বলেন, মুসল্লিরা যখন জুম্মার নামাজ আদায় করছিলেন সেই সময়ে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃতের সংখ্যা ৪৫ নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে বলা হচ্ছে৷ তবে আহত কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হবার কারণে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷

বিস্ফোরণের ধাক্কায় মসজিদটির ছাদ ভেঙে পড়েছে ৷ আশেপাশের কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ টেলিভিশনের বিভিন্ন ছবিতে এইসব ধ্বংসাবশেষ দেখানো হয়েছে৷ আজকে অর্থাৎ শুক্রবারে বোমা হামলা হয়েছে খাইবার পাখ্তুন খোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারের সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চল দাররা আদম খেলের একটি মসজিদে৷ এর আগে পেশোয়ারের পুস্তখারা অঞ্চলে গত মাসে একবার জুম্মার নামাজের সময় একই ধরণের বোমা হামলা চালানো হয়৷ ঐ হামলায় অন্তত ৩ জন নিহত হন৷

Karte von Pakistan mit Swat Region in gelb
ছবি: GFDL / Pahari Sahib

এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তালেবান জঙ্গিরা এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে৷ প্রাদেশিক তথ্য মন্ত্রী মিয়া ইফতিকার হুসেইন বলেছেন, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জয়লাভ না করা পর্যন্ত সরকার যুদ্ধ চালিয়ে যাবে৷ তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জন্যে আমরা আরো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছি৷'' তিনি বলেন,‘‘ এইসব জঙ্গিকে নির্মূল করা কোন ব্যাপার নয়, কেননা তারা যা করছে তা ভুল এবং আমরা সঠিক পথে রয়েছি৷'' মসজিদে নামাজ আদায় রত একজন তালেবান-বিরোধী কর্মীকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ একের পর এক, এই ইসলামি জঙ্গিদের হামলা পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যাবস্থার জন্যে ক্রমেই হুমকি হয়ে উঠছে৷

প্রতিবেদন:ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা:আব্দুল্লাহ আল-ফারূক