1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হানায় ২৫ জঙ্গি নিহত

২২ এপ্রিল ২০১১

আধুনিক যুদ্ধের এই হয়তো স্বরূপ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা লিবিয়ায় ড্রোন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছেন৷ যুগপৎ উত্তর ওয়াজিরিস্তানে জঙ্গিদের একটি আস্তানার উপর ড্রোন হামলা চলেছে৷

https://p.dw.com/p/112bs

আধুনিক যুদ্ধের এই হয়তো স্বরূপ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা লিবিয়ায় ড্রোন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছেন৷ যুগপৎ উত্তর ওয়াজিরিস্তানে জঙ্গিদের একটি আস্তানার উপর ড্রোন হামলা চলেছে৷


দু'দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সর্বাধিনায়ক এ্যাডমিরাল মাইক মালেন খোদ ইসলামাবাদে গিয়ে অনুযোগ করে এসেছেন যে, পাকিস্তানি গুপ্তচর বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে সেই সব জঙ্গিদের সংযোগ আছে, যারা সীমান্ত পেরিয়ে আফগানিস্তানে গিয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটবাহিনীর উপর হামলা চালায়৷

পাকিস্তানে তালেবান সমস্যা, উগ্রপন্থীদের সঙ্গে গুপ্তচর বিভাগের যোগসাজশ, এ'সব সমস্যা তো আছেই৷ এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তান এলাকাটি এখন বিভিন্ন কারণে মার্কিন দৃষ্টিকোণ থেকে টার্গেট নাম্বার ওয়ান৷ পাকিস্তান সরকার বারংবার অভিযান চালিয়েও, যে কারণেই হোক, এলাকাটিকে শান্ত করতে পারে নি৷ কাজেই জমিতে এ'সব অভিযানের তোয়াক্কা না রেখে ওয়াশিংটন ও পেন্টাগন ঐ চালকবিহীন ড্রোন বিমানকে তাদের মূল অস্ত্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ কূটনৈতিক কারণে মার্কিন সৈন্যদের পক্ষে সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের ধাওয়া করা সম্ভব নয়৷ কাজেই ঐ ড্রোনগুলো এখন তাদের চোখ এবং হাত হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

লিবিয়াতেও তো মার্কিন সৈন্যরা পা রাখবে না৷ সেইজন্যই বোধহয় সেখানেও ড্রোন৷ ড্রোন যে বর্তমান যুদ্ধপ্রণালীর একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে অথবা দাঁড়াচ্ছে, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ, খোদ ইসলামাবাদ সরকার এবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এক পর্যায় খুদে ড্রোন পেতে চলেছেন৷

শুক্রবার মির আলি শহরের কাছে দু'টি মার্কিন ড্রোন থেকে চারটি মিসাইল ছোঁড়া হয় একটি বাড়ির দিকে৷ নিহত হয় ২৫ জন জঙ্গি৷ তাদের মধ্যে নাকি বিদেশী জঙ্গিরাও আছে৷ এর থেকে একদিকে যেমন ধরা যেতে পারে যে, ড্রোন আক্রমণের কার্যকরিতা বাড়ছে, অন্যদিকে ইতিপূর্বে উত্তর-পশ্চিমের দির শহরের কাছে জঙ্গিরা একটি সরকারি নিরাপত্তা ঘাঁটি আক্রমণ করে দেখায় যে, তাদের ঔদ্ধত্য ও ক্ষমতা কতোদূর৷ আধা-সামরিক ফ্রন্টিয়ার কোর, স্থানীয় সীমান্তরক্ষী এবং উপজাতীয় পুলিশের জনা ত্রিশেক সদস্য ছিল ঐ ঘাঁটিতে৷ তাদের আক্রমণ করে পাঁচ'শো'র বেশি জঙ্গি৷ জঙ্গিরা নাকি পাশের বাজাউর জেলা থেকে আগত তালেবান৷ তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা গুলিযুদ্ধ চালিয়েছে, সরকারি ঘাঁটিটি দখল করার পর পাঁচজন প্রতিপক্ষের মুণ্ডচ্ছেদ করেছে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক