1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে শোক পালন, বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু

২৯ জুলাই ২০১০

বিমান দুর্ঘটনায় দেড় শতাধিক ব্যক্তির প্রাণহানিতে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে পাকিস্তান৷ এদিকে বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি উদ্ধারের কার্যক্রম৷

https://p.dw.com/p/OXHu
বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের লাশছবি: AP

বুধবার সকালে ইসলামাবাদের কাছে পাহাড়ি এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হলে এর ১৫২ জন আরোহীর সবাই মারা যান৷

বিমান দুর্ঘটনার পরপরই বুধবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি৷ সেই বৈঠকেই দেশব্যাপী বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের সিদ্ধান্ত হয়৷ সকাল থেকে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত আছে, মসজিদে মসজিদে হচ্ছে বিশেষ প্রার্থনা৷ পাকিস্তানে এই বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও৷ বিমানটিতে যুক্তরাষ্ট্রের দুই নাগরিকও ছিলেন৷

এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে মুষল ধারায়৷ আর এর মধ্যেই চলছে উদ্ধার কার্যক্রম৷ অধিকাংশ যাত্রীর লাশ ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে ১৩ জনের লাশ এখনো মেলেনি৷ তাদেরসহ বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে৷ এর তদারকিতে রয়েছে ইসলামাবাদ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ৷ সংস্থার মুখপাত্র রমজান সাজ্জাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বৃষ্টির কারণে ভোর থেকে উদ্ধার কাজ ভালোভাবে শুরু করা যায়নি৷ তবে বৃষ্টি একটু কমে আসার পর কাজে গতি এসেছে৷'' কাজটি যে কঠিন, তাও জানালেন রমজান৷ তিনি বলেন, ‘‘বিমানের ধ্বংসাবশেষ এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে৷ আর পাহাড়ি ওই এলাকায় সড়ক পথে যাওয়ার উপায়ও নেই৷ ফলে কাজটি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷''

খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ আবার পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চালকের ভুলই এই দুর্ঘটনার কারণ৷ আর কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে চালককে সময়মতো সতর্কও করা হয়নি৷ তবে এই বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলেনি কর্তৃপক্ষ৷ বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের প্রধান জুনাইদ সালেম বলেন, ‘‘আমরা এখনো বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করতে পারিনি৷ তবে তদন্তের কাজ আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হচ্ছে৷'' প্রধানমন্ত্রী গিলানির নির্দেশে দুর্ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ কমিটির এক সদস্য স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোকে বলেন, তারা সম্ভাব্য সব কারণই খতিয়ে দেখবেন৷ বিমানে যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি ছিলো কিনা, তার অনুসন্ধানও চালাবেন তাঁরা৷

বিমানযাত্রীদের মধ্যে ১৩৯ জনের লাশ উদ্ধারের পর পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে নেওয়া হয়েছে৷ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর মধ্যে ৫৮ জনের লাশ সনাক্ত করা হয়েছে৷ ৪০ জনের লাশ তাদের স্বজনের কাছে তুলেও দেওয়া হয়েছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলছেন, অনেকের লাশ পুড়ে এত বিকৃত হয়েছে যে চেনা দায়৷ তাদের সনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্ট করতে হবে৷ আর তা আজ থেকেই শুরু হচ্ছে৷

বিমানটি করাচি থেকে ইসলামাবাদ যাচ্ছিলো৷ অবতরণের ৫ মিনিট আগে এটি ইসলামাবাদের ২০ কিলোমিটার উত্তরে মারগালা পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়৷ বেসরকারি সংস্থা এয়ার ব্লু পরিচালিত ওই এয়ারবাসটিতে মোট আরোহী ছিলেন ১৫২ জন৷ এদের মধ্যে ১৪৬ জন যাত্রী৷ অন্যরা ক্রু৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন