1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তান, চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হল

১৮ ডিসেম্বর ২০১০

চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও’এর সফর উপলক্ষে শুক্রবারই স্বাক্ষরিত হয়েছিল ২০ বিলিয়ন ডলার অঙ্কের বাণিজ্য চুক্তি৷ শনিবার তা’তে যোগ হলো আরো ১০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি৷

https://p.dw.com/p/QfVK

চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন চীনা শিল্প-বাণিজ্যের প্রতিনিধিরা৷ তাঁরাই তাঁদের পাকিস্তানি সতীর্থদের সঙ্গে এক ধরণের বাণিজ্য শীর্ষবৈঠক করছেন৷ ব্যাপারটা নতুন এই অর্থে যে, চীন এবং পাকিস্তানের সহযোগিতা এযাবৎ প্রধানত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেই ছিল৷ সেটাকে এবার বাণিজ্য, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত করার চেষ্টা চলেছে, বিশেষ করে চীনের তরফে৷

শনিবার সকালেই ওয়েন জিয়াবাও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি'র সঙ্গে একত্রে একটি আনকোরা ‘পাক-চীন মৈত্রী কেন্দ্রের' উদ্বোধন করেন, ওয়েন যা'কে ‘‘প্রথাগত বন্ধুত্বের প্রতীক'' বলে বর্ণনা করেছেন৷ উভয় পক্ষ যে সাংস্কৃতিক এবং বিশেষ করে ‘পিপল্-টু-পিপল্' পর্যায়ে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে আগ্রহী, এটা তারও প্রমাণ৷ যেমন চীন ঘোষণা করেছে, আগামী দু'বছরে চীন থেকে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে পাকিস্তানে দু'হাজার মানুষের চোখের ছানি কাটানোর ব্যবস্থা করা হবে৷ আগামী তিন বছরে পাকিস্তানি ছাত্রদের চীনে পড়াশুনা করার জন্য ৫০০ বৃত্তির আয়োজন করা হবে৷

মৈত্রী কেন্দ্রটির উদ্বোধনের পর দুই নেতা একটি অনুষ্ঠানে যান, যেখানে উভয় দেশের মানুষরা পরষ্পরের ব্যক্তিগত কাহিনী শোনার এবং শোনানোর সুযোগ পান৷ যেমন মঞ্জুর হুসেন উত্তর পাকিস্তানে ৫০০ চীনা প্রযুক্তিবিদ এবং কর্মীদের কবরের দেখাশোনা করেন৷ এঁরা সকলেই প্রাণ হারিয়েছিলেন কারাকোরাম হাইওয়ে তৈরির প্রকল্পে৷

ওয়েনের এই সফরকে পাকিস্তানে যে কি পরিমাণ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা বোঝা যায় এ' থেকে যে, ওয়েনের সম্মানে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি'র আয়োজিত ভোজসভায় নওয়াজ শরিফ সহ সব বিরোধী দলের নেতারাই উপস্থিত থাকছেন৷ ওয়েন যে ইতিপূর্বে ভারতে গিয়েছিলেন এবং ভারত-চীন বাণিজ্যকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার করার সঙ্কল্প নিয়েছেন, সেটাও নিশ্চয় ইসলামাবাদে কারো নজর এড়ায়নি৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক