1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তান-ভারত সেমিফাইনালকে ঘিরে প্রবল উত্তেজনা

২৮ মার্চ ২০১১

আগামী বুধবারের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন উপমহাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষরা৷ কেননা সেদিন দশম বিশ্বকাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ৷

https://p.dw.com/p/10iyF
ব্যাঙ্গালোরে ভারত-ইংল্যান্ড দলের খেলাছবি: picture-alliance/empics

পাঞ্জাবের মোহালিতে ৩০শে মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ভারত ও পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলা৷ যাকে ঘিরে ইতোমধ্যে এই দুই দেশের মানুষদের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে উত্তেজনা৷ ‘পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন' বা পিসিএ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য এই খেলা দেখার আশায় টিকিটের জন্য এখনও লোকজন ভিড় করছে৷ কয়েক হাজার টিকিট সোমবার ছাড়া হতে পারে এই গুজবে সকাল ১১ টার মধ্যে প্রায় ২০০ জন লোক সেখানে জড়ো হয়৷ পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও ঘটেছে৷

পিসিএ'র একজন কর্মকর্তা জানান, এই ম্যাচ দেখার জন্য আর কোনো টিকিট বিক্রি করা হবেনা৷ কেননা, এই স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ২৮ হাজার৷ এবং ইতোমধ্যে সেই টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে৷ তারপরও টিকিট অফিসের বাইরে লোকজনের ভিড় কমছেনা৷ কালোবাজারীদের কাছ থেকে হলেও টিকিট পাওয়া যায় কিনা তার চেষ্টা চলছে৷

সেমিফাইনাল দেখতে ভারতে যাবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং এর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিনি এ খেলা দেখতে যাচ্ছেন, পাকিস্তান সরকারের মুখপাত্র এখবর জানিয়েছেন আগেই৷ পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান মিসবাহ-উল-হক প্রধানমন্ত্রী গিলানি'র আগমনকে স্বাগত জানিয়েছে৷ বার্তা সংস্থা এএফপি'কে তিনি বলেছেন, ‘‘এতে আমাদের চাপ নিয়ে খেলার কিছু নেই৷ বরং তাঁর কাছ থেকে আমরা সমর্থন পাবো, যেটা একটা ভালো বিষয়৷ এবং আমি মনে করি গিলানিকে খেলা দেখতে এখানে আসার আমন্ত্রণ জানানোটা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর একটা ভালো পদক্ষেপ৷'' পাকিস্তান ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে এর আগেও ক্রিকেটকে ব্যবহার করা হয়েছে৷

২০০৮ সালে মুম্বই এ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের মাটিতে প্রথমবারের মতো এই দুই দেশ একসঙ্গে খেলতে যাচ্ছে৷ সেজন্য জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ চন্ডিগড়ের কাছে হোটেল তাজ এ প্রায় এক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যেখানে এই দুই দেশের খেলোয়াড়রা রয়েছেন৷ এছাড়া বুধবার খেলার সময় প্রায় ৩ হাজার পুলিশ সেখানে টহল দেবে৷ এছাড়া আরও ২ হাজার পুলিশ পিসিএ স্টেডিয়ামের চারপাশে অবস্থান করবে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন