1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তান সংখ্যালঘুদের ‘কিলিং ফিল্ড’, বলল ভারত

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

জাতিসংঘে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল ভারত। কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের এই আক্রমণ।

https://p.dw.com/p/3j8yL
ছবি: AFP/S. Panthaky

জাতিসংঘে ফের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ভারত এবং পাকিস্তানের। কয়েক দিন আগেই কাশ্মীর নিয়ে ভারতের তীব্র সমালোচনা করেছিল পাকিস্তান। এ বার প্রশ্ন করার অধিকার বলে সেই জাতিসংঘেই পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল ভারত। জাতিসংঘে ভারতের প্রতিনিধি বলেছেন, পাকিস্তান সংখ্যালঘুদের 'কিলিং ফিল্ডে' পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, 'পাক অধ্যুষিত কাশ্মীর এবং লাদাখে' মানবাধিকার কার্যত নেই বলেও অভিযোগ করেছে ভারত। বলা হয়েছে, ওই এলাকা পাকিস্তান ব্যবহার করে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য।

গত কয়েক দিন ধরেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে। গত বছর অগাস্ট মাসে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাতিল করার পর থেকেই লাগাতার ভারতের সমালোচনা করে চলেছে পাকিস্তান। জাতিসংঘে চীনও সমর্থন করেছে পাকিস্তানকে। অন্য দিকে পাকিস্তানের বন্ধু রাষ্ট্র তুরস্কও সম্প্রতি কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের সমালোচনা করেছে। অন্য দিকে, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিতর্কিত মানচিত্র প্রকাশ করেছেন। যেখানে ভারতের বিভিন্ন এলাকা পাকিস্তানের বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতও আন্তর্জাতিক মঞ্চে লাগাতার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বিতর্কিত মানচিত্র থাকায় আন্তর্জাতিক বৈঠক থেকে উঠে এসেছে ভারত। তবে জাতিসংঘে সম্প্রতি ভারত যে ভাবে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছে, তা নজিরবিহীন। ভারত বলেছে, পাকিস্তানে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের গুম করে দেওয়া হয়। মেরে ফেলা হয়। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকেও ৪০ বছর বা তারও বেশি সময়ের জন্য জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত বাবা জানের কথা বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে ভারতেরঅভিযোগ, পাকিস্তান কাশ্মীর এবং লাদাখের যে এলাকাগুলি 'দখল' করে রেখেছে, সেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়নি। মানুষ প্রবল দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটান। এবং সেই সুযোগ ব্যবহার করে সেখানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি হয়। পাক প্রশাসন তাতে মদত দেয়। ভারতের দাবি, পাকিস্তান চার হাজার সন্ত্রাসবাদীকে জঙ্গি বলতে রাজি নয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের যাতে জঙ্গি বলা না হয়, তার চেষ্টা চালায়। এ থেকেই বোঝা যায়, পাকিস্তান কী ভাবে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়।

সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভারত পাকিস্তানের আহমেদিদের অবস্থার কথাও উল্লেখ করেছে। বলা হয়েছে ক্রিস্টানদের অবস্থার কথাও। ভারতের বক্তব্য, পাকিস্তান ভারতের সীমান্ত অশান্ত রাখার জন্যই জঙ্গিবাদকে মদত দিচ্ছে।

১৯৪৭ সাল থেকেই কাশ্মীর নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত কাশ্মীর এবং লাদাখের কিছু অংশকে ভারত পাক অকুপাইড কাশ্মীর বলে চিহ্নিত করে। পাকিস্তানও একই ভাবে ভারতের ভূখণ্ডে কাশ্মীরকে চিহ্নিত করে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দীর্ঘদিন ধরেই এ বিষয়ে দুই দেশের বিতর্ক হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক কালের বিতর্ক এক অন্য মাত্রা পেয়েছে।

এসজি/জিএইচ (এএনআই)