1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাক কাশ্মীরে খেললে ভারতীয় ক্রিকেটে থাকা যাবে না

২ আগস্ট ২০২১

পাকিস্তানের কাশ্মীরে ক্রিকেট লিগ খেললে, ভারতে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না। সিদ্ধান্ত ভারতীয় বোর্ডের।

https://p.dw.com/p/3yPXp
পাক কাশ্মীরে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের। ছবি: Getty Images/AFP/P. Paranjpe

আগামী ৬ অগাস্ট থেকে পাকিস্তানের কাশ্মীরে শুরু হচ্ছে কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগ(কেপিএল)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিল, কোনো প্লেয়ার যদি কেপিএলে অংশ নেন, তা হলে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না। অন্য সব ক্রিকেট বোর্ডকে তাদের সিদ্ধান্তের কথা বেসরকারিভাবে জানিয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বিসিসিআই।

কেপিএলের আয়োজক হলো পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তানের কাশ্মীরে এই প্রতিযোগিতা হবে। ভারত বরাবরই বলে আসছে, কাশ্মীরের একটা অংশ পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। ভারতের দাবি, ওটা হলো পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর। ভারতের সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব নেয়া আছে যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর হলো ভারতের অংশ। ভারত কোনোভাবেই সেখানে তাদের দাবি ছাড়বে না। সেজন্যই তারা কেপিএলের বিরোধিতা করছে।

পাকিস্তান সুপার লিগ নিয়ে ভারত কোনো আপত্তি জানায় না। কারণ, সেটা কাশ্মীরে হয় না। ভারতীয় বোর্ডের দাবি, সরকারের নীতি মেনে ও দেশের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর পাক ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগ, ভারত আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে।

ভারতীয় বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের পর মন্টি পানেসর, ম্যাট প্রায়র, ফিল মাস্টার্ড এবং ওয়েইস শাহের মতো ইংরেজ ক্রিকেটাররা কেপিএল থেকে সরে গিয়েছেন। কেপিএলের একটি দলের হয়ে খেলার কথা হার্শেল গিবসের। এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মারার কৃতিত্ব রয়েছে গিবসের। তিনি টুইট করে বলেছেন, ''কেপিএলে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আসাটা ভারতীয় বোর্ডের উচিত হচ্ছে না। আমাকে কেপিএলে খেলতে না দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনো কাজে আমাকে ভারতে ঢুকতে দেয়া হবে না। এটা হাস্যকর।''

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখন ক্রিকেট সিরিজ বন্ধ। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পর আর ক্রিকেট সিরিজ হয় না। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পর উত্তেজনা আরো বেড়েছে। এখন কেপিএল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে।

জিএইচ/এসজি (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, পিটিআই, এএনআই)