পাখির এত রঙ!
ছয় হাজার প্রজাতির পাখির উপর নজর রেখে পুরুষ ও স্ত্রী পাখির রঙে এত পার্থক্যের কারণ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা৷ বর্ণিল কিছু পাখির সঙ্গে পরিচিত হতে চান? তবে ঘুরে আসুন এই ছবিঘরে৷
অদ্ভুত তোতা
বেশিরভাগ পুরষ পাখি স্ত্রী পাখিদের থেকে বেশি সুন্দর হলেও তোতার ক্ষেত্রে তা খাটে না৷ পুরুষ তোতা ও স্ত্রী তোতা দেখতে অনেকটা একই রকমের৷ ভারতে লাল-সবুজ পালকের তোতা দেখা যায়৷ এমন রঙিন তোতা দক্ষিণ আমেরিকাতে পাওয়া যায়৷
কোনটা পুরুষ, কোনটা মহিলা
গবেষকেরা দেখেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষ পাখির তুলনায় নারী পাখির বর্ণ মলিন থাকে৷ এটি জানার পর এই ছবি দেখে আপনি নিশ্চয়ই অনুমান করে ফেলেছেল বামদিকের পাখিটি নারী আর ডানেরটি পুরুষ৷
বেশ আলাদা
অনেক সময় পুরুষ ও স্ত্রী পাখিগুলো এতটাই আলাদা হয় যে এদের দেখে একই প্রজাতির বলে মনে নাও হতে পারে৷ পুরুষ ট্যান্সার পাখি দেখতে কালো ও লাল বর্ণের হলেও স্ত্রী ট্যান্সারদের মধ্যে এসব রঙই নেই!
সাজগোজ
গবেষকেরা দেখেছেন, যে প্রজাতির পাখি আকারে যত বড় হয়, সেটি তত বেশি রঙে স্ত্রী পাখির কাছে শোভা পায়৷
প্রেম নিবেদন এত কঠিন!
কিছু পুরুষ পাখিকে স্ত্রী পাখিগুলোকে প্ররোচিত করতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়৷ বিশেষ ভঙ্গিমায় লেজ কাঁপানো, নাচানাচি করা এমনকি ডানাগুলোকে তুলোর বলের মেলেও ধরতে হয়৷
অনন্য ময়ূর
কথিত আছে বৃষ্টি হলে ময়ূর নেচে ওঠে৷ আসলে পুরুষ ময়ূর স্ত্রী ময়ূরকে আকর্ষণ করতে ডানা মেলে৷ ফলে পুরুষ ময়ূর যত বেশি রঙ ধারণ করে স্ত্রী ময়ূরগুলো ততটাই ফ্যাকাশে৷
শকুনের রাজা
এই সুন্দর শকুনগুলো দক্ষিণ অ্যামেরিকাতে পাওয়া যায়৷ এগুলোর ডানাগুলো কালো, সাদা এবং বাদামি রঙের হলেও মাথা ও ঠোট রঙিন৷
এত বড় ঠোট!
হর্নবিল বা ধনেশের ঠোট খুব বড়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এদের ঠোটগুলো হলুদ, লাল ও সাদা রঙের মিশেলে হয়৷ এই পাখির ঠোটগুলো অনন্য হওয়ার কারণে প্রায়ই শিশুদের কার্টুনে এর উপস্থিতি দেখা যায়৷
চিংড়ি খেয়ে চিংড়ির রং!
ফ্লেমিংগো পাখি চিংড়ি খেয়ে বেঁচে থাকে৷ জেনে অবাক হবেন যে, চিংড়ি খেতে খেতে এই পাখিটি চিংড়ির রঙ ধারণ করে৷
রঙিন মায়না
ময়না পাখির বেশিরভাগ অংশ কালো বা বাদামী বর্ণের হলেও পূর্ব আফ্রিকায় বিভিন্ন ধরণ ও রঙের ময়না পাওয়া যায়৷