এভাবেই লিখেছেন বন্ধু এমএ বারিক, ভাটরা, সিহালী, শিবগঞ্জ, বগুড়া, বাংলাদেশ থেকে৷ তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘পাঠকরা এ জন্য ডয়চে ভেলেকে বেশি পছন্দ করে৷ ডয়চে ভেলেই যে সেরা – তার প্রমাণ পেলাম ‘কুখ্যাত মার্কিন বন্ধি শিবির গুয়ানতানামো' শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে৷ অসাধারণ এই প্রতিবেদনটির জন্য ডয়চে ভেলেকে জানাই অকৃতিম ভালোবাসা৷ সত্যিই প্রতিবেদনের তথ্যগুলো আমার জ্ঞানের ভাণ্ডারকে আরো বিকশিত করবে৷''
বন্ধু বারিকের কথায়, ‘‘‘পুরুষদের স্তনেও ক্যানসার হতে পারে' নামক প্রতিবেদনটি পড়ে সত্যিই আমি চমকে উঠলাম৷ দারুণ উপকৃত হয়েছি ডয়চে ভেলের এই প্রতিবেদনটি পড়ে৷ এ ধরনের তথ্য পাঠকদের খুব উপকারে আসবে৷ তাছাড়া বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে প্রতিবেদনগুলো পড়েও আমি দারুণ মজা পাচ্ছি৷ সেজন্য ধন্যবাদ ডয়চে ভেলের সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তাকে৷''
‘‘বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা উপলক্ষ্যে বিশেষ কুইজের আয়োজন করায় ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ৷ এই ধাঁধায় আশানুরূপ সাড়া পাবেন সেটাই আশা রাখছি৷ পুরস্কার যাই হোক না কেন, বিজয়ী হওয়াটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট আনন্দের ব্যাপার৷ ওয়েবসাইটে জার্মান দলের কিছু আকর্ষণীয় ছবি দেখে খুব ভালো লাগলো৷ জার্মান দলের সাফল্য কামনা করছি৷'' লিখেছেন বিধান চন্দ্র টিকাদার, গুলশান, ঢাকা৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
মানুয়েল নয়ার
সেই ২০১০ সালের বিশ্বকাপ থেকেই জার্মানির এক নম্বর গোলরক্ষক হিসেবে রয়েছেন নয়ার৷ অবশ্য ঘাড়ে ইনজুরির কারণে চলতি বিশ্বকাপের আগে তাঁর ফিটনেস নিয়ে খানিকটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল৷ তবে আশার কথা হচ্ছে, তিনি সেরে উঠেছেন৷ জাতীয় দলের হয়ে ৪৫ বার মাঠে নেমেছেন নয়ার৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
রোমান ভাইডেনফেলার
ভাইডেনফেলার জার্মান দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক৷ ক্যামেরুনের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিটই খেলেছেন তিনি৷ তবে জাতীয় দলের পক্ষে এখন অবধি শুধুমাত্র দু’বার খেলার সুযোগ পেয়েছেন ডর্টমুন্ডের এই গোলরক্ষক৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
রন-রবার্ট সিলার
বুন্ডেসলিগায় অন্যতম শক্তিশালী গোলরক্ষক হিসেবে বিবেচিত সিলার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত৷ তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে জার্মান দলের সঙ্গে আছেন তিনি৷ বলাবাহুল্য, জার্মান দলের এই অবস্থানটিতেও প্রতিযোগিতা কম নয়৷ কোচ ল্যোভের অবশ্য ২৪ বছর বয়সি সিলারকে দারুণ পছন্দ৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
পেয়ার ম্যার্টেসাকার
আর্সেনালে চমৎকার একটি মৌসুম পার করা ম্যার্টেসাকার বিশ্বকাপেও ভালো করার আশা রাখছেন৷ ক্যামেরুনের বিপক্ষে অধিনায়কের ‘আর্মব্যান্ড’ পরে মাঠে নেমেছিলেন তিনি৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
জেরোম বোয়াটেং
ল্যোভের রক্ষণভাগের এক শক্তিশালী খেলোয়াড় বোয়াটেং, যিনি ৩৮ বার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন৷ প্রীতি ম্যাচে লামের অনুপস্থিতি বুঝতেই দেননি তিনি৷ তবে বোয়াটিং মধ্যমাঠেই সবচেয়ে ভালো খেলেন৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
মাটস হুমেলস
জাতীয় দলের হয়ে ২৯ বার মাঠে নামা হুমেলস তাঁর সতীর্থদের তুলনায় অভিজ্ঞতার বিচারে হয়ত পিছিয়ে থাকতে পারেন৷ কিন্তু রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে বুন্ডেসলিগায় ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
বেনেডিক্ট হ্যোভেডেজ
শালকের অধিনায়ক হ্যোভেডেজ দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন৷ ব্রাজিলেও তাঁর ব্যতিক্রম ঘটেনি৷ ‘সেন্টার-ব্যাক’ অবস্থানে সবচেয়ে যোগ্য হ্যোভেডেজ প্রয়োজনে ‘রাইট-ব্যাকেও’ খেলতে পারেন৷ তবে তিনি জাতীয় দলের হয়ে এখন অবধি মাত্র ১৮ বার মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
এরিক ডুর্ম
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ভালো করা ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড় ডুর্ম জাতীয় দলে একেবারেই নতুন৷ ক্যামেরুনের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি দিয়ে তাঁর জাতীয় দলে যাত্রা শুরু হয়৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
কেভিন গ্রোসক্রয়েৎস
গ্রোসক্রয়েৎসের মতো খেলোয়াড় দলে পেলে যে কোনো ম্যানেজারই খুশি হবেন৷ ডর্টমুন্ডের এই তারকা ‘ডিফেন্ডার’ হিসেবে তো বটেই, মাঠের যে কোনো অবস্থানেই ভালো খেলতে পারেন৷ ফলে জাতীয় দলের ২৩ জনের তালিকায় তাঁর স্থান পাওয়ায় বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই!
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
ফিলিপ লাম
দল এবং দেশের পক্ষে খেলাগুলিতে ফিলিপ লামকে বিভিন্ন অবস্থানে খেলানো হয়েছে৷ তবে ল্যোভের বিবেচনায় ‘রাইট ব্যাক’ অবস্থানের জন্যই সবচেয়ে উপযুক্ত তিনি৷ জাতীয় দলের পক্ষে ১০৫ বার মাঠে নামা লাম এবার তাঁর সাফল্যের তালিকায় বিশ্বকাপ ট্রফিও যোগ করতে চান৷ ৩০ বছর বয়সি এই ফুটবলার জার্মান জাতীয় দলের অধিনায়ক৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
মাটিয়াস গিন্টার
ফুটবল মাঠে বিভিন্ন পজিশনে খেলতে পারদর্শী মাটিয়াস গিন্টারও কোচ ল্যোভের বিশেষ পছন্দের তালিকায় রয়েছেন৷ জার্মানির ঘরোয়া ফুটবলে চমৎকার একটি বছর কাটিয়েছেন ফ্রাইবুর্গের এই তরুণ খেলোয়াড়৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার
জাতীয় দলের হয়ে একশোবার মাঠে নামার সৌভাগ্যবানদের তালিকায় কিছু দিন আগেই নাম লিখিয়েছেন শোয়াইনস্টাইগার৷ মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা এবারের বিশ্বকাপে জার্মানিকে সহায়তা করবে বলে আশা করছেন অনেকেই৷ পাশাপাশি তরুণ খেলোয়াড়দেরও তাঁর কাছ থেকে শেখার আছে অনেক৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
ক্রিস্টোফ ক্রামার
মাঠে নিরলস ভাবে দৌঁড়ানো এবং নির্ভুল ‘পাস’ দেয়ার সুনামের অধিকারী ক্রামার পোল্যান্ডের বিপক্ষে চমৎকার খেলেছেন৷ আর ক্যামেরুনের বিপক্ষে শেষের ১৫ মিনিটে তাঁর খেলা ল্যোভের মন জয় করার জন্য ছিল যথেষ্ট৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
সামি খেদিরা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এক পর্যায় মাঠ থেকে তুলে নেয়া হয় সামি খেদিরাকে৷ গত নভেম্বরে হাঁটুতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলেন তিনি৷ তবে তিনি দ্রুতই সেরে উঠছেন৷ পুরোপুরি ফর্ম ফিরে পেলে জার্মানির বিশ্বকাপ দৌঁড়ে বড় অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে তাঁর৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
টোনি ক্রোস
বায়ার্ন মিউনিখে নিজের ভবিষ্যত কী হবে – সেটা নিয়ে এখন সম্ভবত ভাবছেন না ক্রোস৷ তাঁর চিন্তা এখন শুধুই বিশ্বকাপকে ঘিরে৷ অসাধারণ ‘পাস’ দিতে দক্ষ এই তারকা জাতীয় দলের অন্যতম কাণ্ডারি৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
ইউলিয়ান ড্রাক্সলার
ল্যোভের আরেক আবিষ্কার ড্রাক্সলার৷ মধ্যমাঠের আক্রমণাত্মক মেজাজের এই খেলোয়াড়ের বয়স মাত্র ২০ বছর৷ গত মৌসুমে অবশ্য তাঁর খেলায় ছন্দটি ঠিক ছিল না৷ তবে এবার দলের সঙ্গে থেকে যে অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করবেন, তা ভবিষ্যতেও কাজে দেবে৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
শ্কদ্রান মুস্তাফি
বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে মার্কো রয়েসের ইনজুরি যেন মুস্তাফির কপাল খুলে দিয়েছে৷ ২০০৯ সালে উয়েফা অনুর্ধ-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী জার্মান দলের সদস্য তিনি৷ তাঁর বয়স এখন ২২৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
মেসুত ও্যজিল
চলতি মৌসুমের শেষের দিকে খানিকটা নিষ্প্রভ হয়ে যান ও্যজিল৷ তবে শুধুমাত্র একটি মৌসুম দিয়ে ‘পারফর্মেন্স’ বিবেচনা করার মতো খেলোয়াড় তিনি নন৷ জাতীয় দলের হয়ে পঞ্চাশবারের বেশি মাঠে নেমেছেন তিনি৷ চূড়ান্ত বিবেচনায় তাই জার্মান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মেসুত ও্যজিল৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
মারিও গ্যোটৎসে
সর্বশেষ মৌসুমে ডর্টমুন্ড ছেড়ে মিউনিখে যাওয়ায় খানিকটা সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন গ্যোটৎসে৷ এমনকি পুরাতন ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে নিজের সাবকে ভক্তদেরও মন ভেঙে দিয়েছেন তিনি৷ চলতি বিশ্বকাপে আক্রমণভাগে বেশি দেখা যেতে পারে গ্যোটৎসেকে৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
আন্দ্রে শ্যুর্লে
জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলেও মাঠে শ্যুর্লের অবস্থান কী হবে – তা এখনো নিশ্চিত নয়৷ কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ তাঁকে আক্রমণভাগে রাখতে পারেন৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
লুকাস পোডোলস্কি
জাতীয় দলের হয়ে ১১২ বার মাঠে নেমেছেন পোডোলস্কি, যা এক রেকর্ড৷ খুব কম খেলোয়াড়ের পক্ষেই এমন রেকর্ড ভাঙা সম্ভব৷ ইদানীং অবশ্য দলের হয়ে মাঠে নামার চেয়ে ‘সাইড বেঞ্চে’ বসে থাকতেই বেশি দেখা যায় তাঁকে৷ তবে যে কোনো সময় জ্বলে ওঠার ক্ষমতা রাখেন পোডোলস্কি৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
টোমাস ম্যুলার
জার্মান দলের হয়ে গোল করতে অন্যতম দক্ষ ম্যুলার৷ সতীর্থ ক্লোজের সঙ্গে এক্ষেত্রে তাঁর মিল অনেক৷ জাতীয় দলের হয়ে ৪৭ বার মাঠে নেমে ১৮ গোল করেছেন ম্যুলার৷
-
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
মিরোস্লাভ ক্লোজে
জাতীয় দলের হয়ে ৬৮টি গোল করা ক্লোজের সামনে দুটি রেকর্ড ভাঙার সুযোগ রয়েছে৷ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডটি রোনাল্ডোর কাছ থেকে নিয়ে নিতে পারেন তিনি৷ আর জার্মানির হয়ে সর্বোচ্চ গোল করে গের্ট ম্যুলারের গড়া রেকর্ডও এবার ভাঙতে পারেন তিনি৷
লেখক: রস ডানবার / এআই
এবারের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন সুভাষ চক্রবর্তী৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বকাপ ফুটবলের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ওয়েবসাইট খুলে আজকাল প্রথমেই চোখের দৃষ্টি নিবদ্ধ করছি খেলার পাতাটির দিকে৷ ১২ তারিখ থেকে তাই আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটের খেলার পাতা৷ থাকবে আরও নতুন নতুন এবং সর্বশেষ তথ্য৷ খেলার খবর পড়ার জন্য খবরের কাগজ তো আছেই, কিন্ত ওয়েবসাইটে তুলে ধরা পরিবেশনাগুলো যে আরও প্রাণবন্ত লাগে!''
বন্ধু সুভাষ চক্রবর্তী আরো লিখেছেন, ‘‘‘সমাজ সংস্কৃতি' পাতাটি খুব ভালো করে দেখা হচ্ছে না৷ তবে সম্প্রতি ‘অন্তঃপুরে এক নারীর দু'বছরের সংগ্রাম' লেখাটি দেখে পড়ে নেবার আগ্রহ ছাড়তে পারলাম না৷ আর পড়ে জানতে পারলাম অসাধারণ এক সংগ্রামী নারী জিনাত আখরাসের জীবন সংগ্রামের কথা৷ জানিনা, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই লেখাটি না পেলে এই সংগ্রামী নারীর সম্পর্কে জানতে পারতাম কিনা৷ এখানেই তো ডয়চে ভেলের সাংবাদিকতার অসাধারণত্ব৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ