পানি, বিদ্যুৎ সংকটে হাইতির মানুষ
হাইতির রাজধানী পর্তোপ্রাঁসের যেখানে জ্বালানি আছে সেখানে ঢোকার পথ বন্ধ করে রেখেছে ক্রিমিনাল গ্যাংরা৷ তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ৷ এদিকে, জ্বালানির অভাবে পানি ও বিদ্যুৎ না থাকায় সাধারণ নাগরিকেরা সমস্যায় পড়েছেন৷
প্রবেশপথ বন্ধ
হাইতির রাজধানী পর্তোপ্রাঁসের রাস্তায় ব্যারিকেড দেখা যাচ্ছে৷ ক্রিমিনাল গ্যাংরা এই ব্যারিকেড বসিয়েছেন যেন জ্বালানি শহরের অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া না যায়৷ গ্যাংদের প্রধান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল অঁরি যখনই পদত্যাগ করবেন তখনই ব্যারিকেড তুলে নেয়া হবে৷
বিদ্যুৎ সংকট
নাগরিকদের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে কখনই সক্ষম ছিল না হাইতি৷ এমনকি রাজধানীর অভিজাত এলাকায়ও কয়েক ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয় না৷ ফলে সেখানে জেনারেটরের ব্যবহার অনেক বেশি৷ কিন্তু জ্বালানির অভাবে জেনারেটরও চলছে না৷
আছে পানি সংকটও
জ্বালানির অভাবে পানির সংকটও দেখা দিয়েছে৷ কারণ নাগরিকদের একটি বড় অংশের কাছে ট্রাকে করে পানি সরবরাহ করা হয়৷ কিন্তু জ্বালানির অভাবে ট্রাক চলতে পারছে না৷
হাসপাতালে সংকট
পানি, বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতাল পরিচালনায়ও সমস্যা হচ্ছে৷ জরুরি যন্ত্র চালানোর মতো বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না৷
পুলিশের কাজে সমস্যা
জ্বালানির অভাবে গাড়ি চলছে না বলে পুলিশও ঠিকমত দায়িত্ব পালন করতে পারছে না৷
বিক্ষোভ
জ্বালানি সংকটের কারণে সাধারণ নাগরিকেরা মাঝেমধ্যে বিক্ষোভ করছেন৷
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি
গত জুলাই মাসে হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভনেল ময়িজকে হত্যা করা হয়৷ ক্রিমিনাল গ্যাংদের জোট জি৯ এর প্রধান জিমি শেরিজিয়ের মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল অঁরি (ছবি) ময়িজ হত্যার সঙ্গে জড়িত৷ তবে অঁরি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন৷
ক্রিমিনাল গ্যাংদের শক্তি
হাইতিতে ক্রিমিনাল গ্যাংরা বেশ শক্তিশালী৷ গত কয়েকমাস ধরে তারা বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে জড়িত৷ এ মাসের শুরুতে তারা ক্যানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন মিশনারিকে অপহরণ করে৷ মুক্তিপণ হিসেবে প্রত্যেকের জন্য তারা এক মিলিয়ন ডলার চেয়েছে৷
ধর্মঘট
পরিবহণ সেক্টরে কাজ করা অনেককে অপহরণ করেছে ক্রিমিনাল গ্যাং৷ তাই অপহরণের প্রতিবাদে সোমবার থেকে ধর্মঘট পালন করছেন পরিবহণ খাতের মালিক, শ্রমিকরা৷ ফলে জ্বালানি সংকটে দুর্বিসহ হয়ে ওঠা সাধারণ নাগরিকের জীবন আরও সমস্যায় পড়েছে৷