1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পারলেন না শচীন, আইপিএল সেরা ধোনির চেন্নাই

২৬ এপ্রিল ২০১০

তিন নম্বর আইপিএল জিতে নিল চেন্নাই সুপার কিংস৷ মুম্বইয়ের মাঠে প্রবল দর্শক বিরোধিতার মধ্যেও ধোনির চেন্নাই হারিয়ে দিল শচীনের মুম্বইকে৷ তবে এবারের টুর্নামেন্ট সেরা এবং সর্বোচ্চ রানের মালিক শচীন একাই৷

https://p.dw.com/p/N64l
জিতলেন ধোনি (ফাইল ফটো)ছবি: AP

জন্মদিনের পরেই ছিল আইপিএল ফাইনাল৷ হাতে ছিল চোট৷ সেই চোট কিন্তু নয়, ক্যাপ্টেন শচীন টেন্ডুলকরের ব্যাটিং অর্ডার সাজানোয় গলদ থেকে যাওয়ায় মুম্বইয়ের আর আইপিএল সেরা হওয়াটা হল না৷ ঘরের মাঠেই তাঁর দল হেরে গেল মাত্র বাইশ রানে৷

শুরুতে ব্যাট করে ধোনির চেন্নাই তুলেছিল পাঁচ উইকেটে ১৬৮৷ তার মধ্যে সুরেশ রায়নার অপরাজিত ৫৭ রানের একটা ঝোড়ো ইনিংস ছিল৷ এরপর শচীনের দল ব্যাট করতে নেমে শুরুটাও খারাপ করে নি৷ কিন্তু শেষরক্ষা করা যায় নি মূলত ব্যাটিং অর্ডারে গড়বড় থেকে যাওয়ায়৷ দলের নামজাদা পিঞ্চ হিটার কিরন পোলার্ডকে কেন যে শচীন আট নম্বরে ঠেলে দিলেন, তা নিয়ে আফশোষ থেকেই যাবে মুম্বই সমর্থকদের৷ শচীন নিজেও এদিন খেলতে পারেন নি সেভাবে৷ শেষ পর্যন্ত বাইশ রান বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় মুম্বইয়ের যাত্রা৷

এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ রান করেছেন শচীন৷ তাঁর সংগ্রহে মোট ৬১৮ রান৷ ৩৭ বছর বয়সে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যানের এখনও এই দক্ষতা চমকের থেকেও বহুগুণ বেশি৷ টুর্নামেন্ট সেরাও হয়েছেন শচীন টেন্ডুলকর৷ ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সুরেশ রায়না৷ অনুর্দ্ধ তেইশ সেরা হয়েছেন সৌরভ তিওয়ারি৷ সবথেকে বেশি, ২১টি উইকেট তুলেছেন প্রজ্ঞান ওঝা৷ আর ফেয়ার প্লে পুরস্কারটিও চ্যাম্পিয়নের তকমার সঙ্গেই ঘরে তুলেছে চেন্নাই সুপার কিংস৷

২০০৮ সালের আইপিএলে ফাইনালে উঠেছিল চেন্নাই৷ সেবার রাজস্থান রয়্যালসের কাছে তারা হেরে যায়৷ এবার চেন্নাইয়ের দল তেমন ফেভারিট ছিল না টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে৷ কিন্তু, শেষ হাসিটা তারাই হাসছে, তাও আবার শচীনের ঘরের মাঠে৷ যেখানে প্রবল দর্শক বিরোধিতার মধ্যেও নিজেদের স্নায়ু ঠিক রেখে লড়াইটা চালাতে পেরেছে ধোনির দল৷

চেন্নাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যি এবারের আইপিএলের আসরে যবনিকা পড়ে গেল, একথা বলা যাবে না৷ কারণ, আইপিএলে ম্যাচ পাতানো নিয়ে নতুন খেলা শুরু হয়েছে ফাইনালের আগে থেকেই৷ রোববার রাতেই বরখাস্ত হয়েছেন আইপিএল প্রধান ললিত মোদি৷ ফলে এখন চলতেই থাকবে জাবর কাটার কাজ৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম