1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পার্সেল বোমার দায় স্বীকার করলো আল-কায়দা সহযোগী

৬ নভেম্বর ২০১০

গত সপ্তাহে মার্কিন ঠিকানায় পার্সেল বোমা পাঠানোর দায় স্বীকার করেছে আল-কায়দার ইয়েমন ভিত্তিক সহযোগী গোষ্ঠী৷ শুধু তাই নয়, জঙ্গি গোষ্ঠীর দাবি, সেপ্টেম্বরে ডাক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইউপিএস এর একটি বিমানও বোমায় উড়িয়ে দেয় তারা৷

https://p.dw.com/p/Q0GG
ফেডেক্স এবং ইউপিএস এর কার্গো বিমান থেকে উদ্ধার হয় পার্সেল বোমাছবি: AP

ওয়েব ফোরামে জঙ্গি গোষ্ঠীর দাবি

একটি জিহাদি ওয়েব ফোরামে এই দাবি জানিয়েছে আরব উপদ্বীপের জঙ্গি গোষ্ঠী একিউএপি৷ ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট মনিটরিং সংস্থা এসআইটিই এই জঙ্গি ফোরামের খবর জানিয়েছে৷ সেখানে, একিউএপি গত সপ্তাহের মতো আরো পার্সেল বোমা হামলার হুমকি দিয়েছে৷ বিশেষ করে পশ্চিমা যাত্রীবাহী বিমান ও কার্গো বিমান হবে তাদের হামলার লক্ষ্য৷ শুধু তাই নয়, গত সেপ্টেম্বরে দুবাই বিমানবন্দরের কাছে একটি ইউপিএস বিমানও নাকি তাদের বোমাতেই বিধ্বস্ত হয়৷

এখানে বলা রাখা ভালো, গত সপ্তাহে শিকাগোর ইহুদী ধর্মস্থানের ঠিকানায় দু'টি পার্সেল বোমা পাঠানো হয়৷ কিন্তু লন্ডন এবং দুবাইয়ে পরিবহণ বিমান থেকে সেগুলো উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী৷

Kanzleramt Berlin Paketbombe Flash-Galerie
জার্মান চ্যান্সেলরের দপ্তর থেকেও পার্সেল বোমা উদ্ধার করা হয়ছবি: dapd

একিউএপি'র দাবির প্রতিক্রিয়া

ওয়াশিংটন আগেই জানিয়েছিল যে, এটি বিশ্বাস করে পার্সেল বোমা, যেগুলো ইয়েমেন থেকে পাঠানো হয়েছিল, সেগুলো তৈরি করেছে সৌদি জঙ্গি ইব্রাহিম হাসান আল-আসিরি, যে কিনা একিউএপি'র সদস্য৷ তবে, জঙ্গি গোষ্ঠীর দাবির পর কোন আনুষ্ঠানিক মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ওয়াশিংটনের এক কর্তার বরাতে জানাচ্ছে, সেপ্টেম্বরে ইউপিএস বিমান বিধ্বস্তের পেছনে একিউএপি জড়িত কিনা তা নিশ্চিত করতে পারছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে গত সপ্তাহে পার্সেল বোমা ষড়যন্ত্রের পেছনে একিউএপি জড়িত থাকার যথেষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে৷

ইউপিএস এর মন্তব্য

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউপিএস এর এক মুখপাত্র স্বীকার করেছেন, সেপ্টেম্বরে বিমানটি দুঘর্টনায় পড়ার আগে পাইলট ককপিটে আগুন এবং ধোঁয়ার কথা জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেটি জঙ্গি গোষ্ঠীর বোমার কারণে কিনা তা জানাতে সমর্থ নয় ইউপিএস৷

ইউরোপে পার্সেল বোমা আতঙ্ক

ইউরোপের বিভিন্ন সরকার প্রধানের কার্যালয় এবং দূতাবাসে পাঠানো পার্সেল বোমার উৎপত্তি ছিল গ্রিসে৷ এই ঘটনার সঙ্গে দুবাইয়ে বা লন্ডনে আটক বোমার কোন সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ পার্সেল বোমা ষড়যন্ত্রের পর পরিবহণ বিমানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিবহণ বিষয়ক প্রধান সিম খালাস অবশ্য মাত্রাতিরিক্ত কড়াকড়ির পক্ষে নন৷ কেননা, এতে করে আকাশপথে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে সমুহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে৷ তাই, আতঙ্কে নয়, বরং আনুপাতিকভাবে নিরাপত্তা বাড়ানোর পক্ষে খালাস৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য