পালাচ্ছেন গ্রামবাসীরা, শুধু নেতাদের ভিড়

বুধবার সকালে সাবেক মন্ত্রী রামচন্দ্র ডোমকে নিয়ে বগটুই গ্রামে পৌঁছে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে স্কুটারে চড়ে তিনি গ্রামে পৌঁছান। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে।

নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সেলিম প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে অট্টালিকার মতো বাড়ি তৈরি করলেন ভাদু। এলাকায় তিনি মাফিয়া বলে পরিচিত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। পাশাপাশি তার অভিযোগ, পোড়া বাড়ি থেকে পুলিশ তথ্য লোপাটের চেষ্টা করছে। এই ঘটনার সঙ্গে সিন্ডিকেট জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলেছে ফরেনসিক দল। তারা পোড়া বাড়িতে ঢুকে নমুনা সংগ্রহ করছে।

আপাতত ঘটনার তদন্ত করছে রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তর সিআইডি। গ্রামের ঘরে ঘরে ঢুকে তারা তল্লাশি করছে। পোড়া বাড়ির সামনে গোয়েন্দাদের ভিড়।

ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর গোয়েন্দারাও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তারাও পৃথক তদন্ত শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে, আইবি-র কাছে কেন আগে থেকে সেই খবর ছিল না। এক অফিসারকে শোকজও করা হয়েছে।

স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব গ্রামের বাইরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে।

বিজেপি নেতা ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশের ব্যারিকেডের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি কথা বলছেন।

প্রবীণ বাম নেতা বিমান বসুও বুধবার ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ তাকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেন। গ্রামের বাইরেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তিনি। পরে অবশ্য তিনি গ্রামের ভিতরে ঢোকেন।

বিজেপির বাহুবলী নেতা অর্জুন সিং-ও বুধবার বগটুই পৌঁছে যান। তিনিও গ্রামের বাইরে বিক্ষোভ দেখান।

বৃহস্পতিবার এলাকায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা। কিন্তু এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তাদের ভয়, ফের তাদের উপর আক্রমণ চালাতে পারে দুষ্কৃতীরা।