1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পা দিয়ে পিয়ানো বাজিয়ে চীনাদের হৃদয় জয়

২০ আগস্ট ২০১০

পায়ের আঙুল দিয়ে পিয়ানো বাজিয়ে চীনাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন লিউ উয়ি৷ শৈশবে হাত হারালেও সংগীত চর্চার স্বপ্ন হারাননি লিউ৷ টেলিভিশন ট্যালেন্ট শো’তে পিয়ানোর সুরে মাতালেন ২৩ বছর বয়সি এই সংগীত প্রতিভা৷

https://p.dw.com/p/OrzA
ছবি: Edition Bochinsky

‘চাইনা'স গট ট্যালেন্ট' এর লড়াইয়ে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে গেছেন লিউ৷ শীর্ষ পর্যায়ে থাকা ৪০ জনের মধ্যে চলছে এখন সেরা প্রতিভার পরিচয় দেওয়ার যুদ্ধ৷ তবে ইতিমধ্যেই লিউ স্থান করে নিয়েছেন অগণিত দর্শক ও ভক্তের হৃদয়ে৷ ইউটিউব এবং চীনা ভিডিও সাইটগুলোতে লিউর পিয়ানো প্রতিভা দেখতে ভিড় করেছে দুই লক্ষাধিক মানুষ৷

মঞ্চে উঠে যখন দুই পায়ের আঙুল দিয়ে পিয়ানোতে সুর তোলেন লিউ, তখন মন্ত্রমুগ্ধের মতো চুপ হয়ে যান হল ভর্তি দর্শক এবং বিচারক মণ্ডলী৷ বিস্ময়ে অভিভূত সবাই৷ নিজেদের অজান্তেই অধিকাংশ দর্শকের চোখ বেয়ে নেমে আসে দু'ফোটা অশ্রু৷ বিচারক নিজেও এক ফাঁকে নিজের রুমাল দিয়ে চেষ্টা করেন নিজের অশ্রু ঢাকার৷

বেইজিং-এই বড় হয়েছেন লিউ৷ মাত্র দশ বছর বয়সে লুকোচুরি খেলার সময় উচ্চ মাত্রার বিদ্যুৎ পরিবাহী তার ছোঁয়ার কারণেই নিজের হাত দু'টি হারাতে হয় লিউকে৷ তবে পরাজয় মেনে নেননি তিনি৷ সংগীত চর্চার স্বপ্ন পূরণে চালিয়ে যাচ্ছেন অদম্য প্রচেষ্টা৷ ১৯ বছর বয়স থেকেই পিয়ানো বাজানো শুরু করেন তিনি৷ লিউ এর প্রথম পিয়ানো শিক্ষক তাঁকে ছেড়ে গেছেন এই ভেবে যে, পায়ের আঙুল দিয়ে কি পিয়ানো বাজানো সম্ভব?

কিন্তু হাল ছাড়েননি লিউ৷ পড়ছেন সংগীত তত্ত্ব৷ আর নিজে নিজেই শিখেছেন পা দিয়ে পিয়ানো বাজানোর গোপন কৌশল৷ তবে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে লিউ এর সংগীত চর্চায়৷ কারণ পায়ের আঙুলের দৈর্ঘ্য অল্প হওয়ায় তিনি অক্টেভস পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন না ঠিকমতো৷ তাই তাঁর অনেকগুলো পছন্দের সুর তুলতে পারেন না লিউ৷ তবুও ঐ ট্যালেন্ট শো'তে বাজিয়েছেন রিচার্ড ক্লেডারম্যানের বিখ্যাত সুর ‘ম্যারেজ ড'আমর'৷

‘ব্রিটেন'স গট ট্যালেন্ট' শো'তে ‘লেস মিজারেবলস' থেকে ‘আই ড্রিমড এ ড্রিম' সুর তোলে বিখ্যাত সুসান বয়েলের সাথে লিউকে তুলনা করেছেন অনেকেই৷ শাংহাই ডেইলি'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিউ বলেন, ‘‘আমার হাত না থাকার কারণেই আমাকে কেন ব্যথিত বলে মনে করে মানুষ? আমি তো অন্যান্য তরুণদের মতোই সুখী ও আনন্দময় জীবন যাপন করি৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম