1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশের গুলিতে যুবক নিহত, উত্তর লন্ডন উত্তপ্ত

৭ আগস্ট ২০১১

উত্তর লন্ডনের টটেনহ্যাম এলাকায় ব্যাপকহারে রায়ট, লুটপাট, দোকান এবং বাড়িঘরে ভাঙচুর, চল্লিশজন গ্রেপ্তার৷ পরিস্থিতি বেশ অগ্নিগর্ভ সেখানে৷ পাশ্চাত্ত্য সভ্যতার প্রাণকেন্দ্রে এবার উঠছে সামাজিক সুরক্ষার প্রশ্নও৷

https://p.dw.com/p/12CZi
রাতভর দাঙ্গা চলেছে টটেনহ্যামেছবি: AP

প্রথমে ঘটনাটা ছোট করে বলে নেওয়া যাক৷ লন্ডনের উত্তরাঞ্চলের টটেনহ্যাম নামের একটি জায়গার বাসিন্দা জনৈক মার্ক ডুগান গত বৃহস্পতিবার ট্যাক্সি করে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন৷ তারপরে ক্রমশ অসন্তোষ ধূমায়িত হচ্ছিল স্থানীয় মানুষের মধ্যে৷ ডুগানের মৃত্যুর সন্তোষজনক কোন উত্তরও পুলিশ দিতে পারেনি৷ এরপর সপ্তাহান্তের সুযোগটিকে কাজে লাগাতে আর ছাড়েনি যারা গোলমাল পাকাতে চায় তারা৷ ফলে শনিবার রাত থেকে প্রথমে অল্পস্বল্প, পরে ব্যাপকহারে গোলমাল শুরু হয়ে যায় টটেনহ্যামে৷

গোলমালের ধরণটা বেশ চেনা৷ শনিবার সন্ধ্যায় জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা প্রথমেই রাস্তায় যানবাহন পোড়াতে শুরু করে দেয়৷ পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগে৷ ভস্মীভূত হয় একটি ডাবলডেকার বাস৷ আগুন লাগানো হয় আলডি-র একটি সুপারমার্কেটে৷ আর এই বিক্ষোভ, আগুন ইত্যাদির সুযোগ নিয়ে একদল লুটেরা একের পর এক দোকানপাট লুট করে৷ এমনকি বেশ কিছু বাড়িঘরেও লুটেরারা হামলা চালায়৷

Krawalle in Tottenham London Flash-Galerie
রবিবার সকালে টটেনহ্যামের অবস্থাছবি: dapd

ভাঙচুর, আগুন, লুটপাট, এ ধরণের অন্যায়ের ছবিতে বেশ বিপর্যস্ত লন্ডনের প্রশাসন৷ এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ডেভিড ল্যামি৷ এমনকি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও বিবৃতি শোনা গেছে৷ যাতে ডাউনিং স্ট্রিট বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলছে, এ ধরণের ক্ষোভকে মেনে নেওয়া যায়না৷ পুলিশ জানাচ্ছে, অন্তত দু'জন অফিসার এই রায়ট থামাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন৷ এছাড়া মোট দশজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে৷ গ্রেপ্তারের মোট সংখ্যাটা অন্তত ৪০৷

রায়ট পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত করা গেলেও ঘটনাটা এখানেই যে মিটে যাচ্ছেনা, সেটা বলাই বাহুল্য৷ ট্যাক্সি করে যাবার সময়ে হঠাৎ কী করে ডুগান পুলিশের গুলিতে নিহত হলেন, সে রহস্য এখনও স্পষ্ট নয়৷ ডুগানের শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসতে ব্রিটিশ পুলিশের একটি বিশেষ ওয়াচডগ দল রোববার সন্ধ্যাবেলায় যাচ্ছে টটেনহ্যামে৷ এলাকার মানুষের সঙ্গেও তারা কথা বলবেন৷

এলাকার সাংসদ ডেভিড ল্যামি বলছেন, বিক্ষোভ দেখিয়ে কোন সমাধান মিলবে না৷ জানা দরকার, কীভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে ডুগানকে গুলি করে মেরে ফেলল পুলিশ৷ কারণটা কী? ল্যামির এ প্রশ্নের কোন স্পষ্ট জবাব এখনও পুলিশ দিতে পারে নি৷ পুলিশের বক্তব্য, তদন্ত চলছে৷ এই ঘটনার যারা প্রত্যক্ষদর্শী, তাদের সাহায্য চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: জাহিদুল হক