1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুলিশ স্টেশনের সদর পথে নারী কর্মকর্তার আসন

১৪ নভেম্বর ২০১০

ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে কর্মক্ষেত্রসহ নানা পরিবেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভারতে ২০০৮ সালে ২১ হাজার ৪৬৭ টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা ২০০৪ সালের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি৷

https://p.dw.com/p/Q88X
Indian, police, officer, Bombay, পুলিশ, স্টেশন, নারী , কর্মকর্তা, আসন
ফাইল ছবিছবি: AP

২০০৪ সালে ঘটেছিল ১৮ হাজার ২৩৩ টি ধর্ষণের ঘটনা৷ তাই নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের অংশ হিসেবে সরকার বসালো পুলিশ স্টেশনের সদর পথে নারী কর্মকর্তার আসন৷

মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে দৌড়ে যাবেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে, এটাই স্বাভাবিক৷ এমনকি কোথাও কোন অপরাধ কিংবা নির্যাতনের শিকার হলেও তাদের ছুটে যাওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে৷ কিন্তু এশিয়ার বেশ কিছু দেশে হয়রানি কিংবা নির্যাতনের শিকার হলে তার প্রতিকারের জন্য পুলিশের কাছে যেতে বেশ শঙ্কা বোধ করেন নারীরা৷ কারণ পুরুষরাও যেখানে গিয়ে অনেক সময় সঠিক বিচার পান না, সেখানে নারীরা গিয়ে হয়তো শিকার হতে পারেন আরো বেশি বৈষম্যের৷ এমনকি পুলিশ সদস্যদের হাতে বন্দি নারীদের নির্যাতনের ঘটনাও একেবারে অজানা নয়৷ তাই পুলিশের প্রতি নারীদের আস্থা বাড়াতে ভারতে গ্রহণ করা হয়েছে নতুন উদ্যোগ৷

রাজধানী নতুন দিল্লীতে পুলিশ স্টেশনগুলোর সামনের ঘরেই বসানো হচ্ছে পুলিশের নারী কর্মকর্তাদেরকে৷ আশা করা হচ্ছে, এর ফলে নারীরা বেশ সহজে নারী পুলিশের কাছে তুলে ধরতে পারবে তাদের অভিযোগগুলো৷ এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভারতের অন্যান্য শহরের চেয়ে নতুন দিল্লীতেই নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের বেশি অভিযোগ আসে পুলিশের কাছে৷ এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে খুন, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং ইভ-টিজিং এর মতো কর্মকাণ্ড৷

কিন্তু পুলিশ বাহিনীর পুরুষ সদস্যদের সামনে এসব অভিযোগ খোলামেলাভাবে তুলে ধরতে শঙ্কা বোধ করেন নারী ভুক্তভোগীরা৷ ফলে এসব অভিযোগের অনেকগুলোই শেষ পর্যন্ত নথিভুক্ত হয় না পুলিশের ঘরে৷ প্রতিকার মেলে না নারীদের ভাগ্যে৷ বেঁচে যায় অপরাধীরা৷ তাই এই নতুন উদ্যোগের ফলে নতুন দিল্লীর ১৮৫ টি পুলিশ স্টেশনে এখন থেকে নারীরা বেশ স্বাচ্ছন্দে প্রকাশ করতে পারবে তাদের উপর নির্যাতনের কাহিনী, বললেন পুলিশের মুখপাত্র রজন ভজত৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম