1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পূর্ব ইউরোপে বাড়ছে এইচআইভি সংক্রমণ

১৪ জুলাই ২০১০

আফ্রিকার তরুণরা এইচ আই ভি প্রতিরোধে এক বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখছে৷ আর এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের এইডস কর্মসূচি৷ অন্যদিকে ইউরোপে নতুন এইচআইভি সংক্রমণ বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/OJ9d
যথেষ্ট সচেতনতা থাকলেও ইউরোপে এইডস ছড়িয়ে পড়ছেছবি: AP

নিরাপদ যৌন সম্পর্ক এবং যৌনসঙ্গীর সংখ্যা কম রেখে আফ্রিকার তরুণরা এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে এক বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখছে৷ আগামী সপ্তাহে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এইচআইভি এইডস সম্মেলনের প্রাক্কালে এই নতুন তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের এইডস কর্মসূচি৷ নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বের সর্বত্রই মানুষ রোগ ব্যাধি নিয়ে উদ্বেগের ক্ষেত্রে এইডসকে তালিকার শীর্ষে রেখেছে৷

জরিপে অংশ নেন প্রায় ১২ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ৷ জরিপের ফল অনুযায়ী, এইডস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার ৩০ বছরে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর মধ্যে এইডসের সর্বোচ্চ স্থান অব্যাহত রয়েছে৷ ইউএনএইডস-এর নির্বাহী পরিচালক মিশেল সিডিবে বলেছেন, যারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের প্রায় অর্ধেকই ২০১৫ সালের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন৷ তিনি বলেন, ''জরিপে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের প্রায় অর্ধেকই বলেছেন, এইডস প্রতিরোধে অর্থসংস্থানের অভাব একটা বাধা৷ এবং শতকরা প্রায় ৭০ ভাগেরও বেশি মানুষ বলেছেন, এইচ আই ভি প্রতিরোধেই সব অর্থ ও উদ্যোগ নিয়োগ করা উচিত৷ এ থেকে বোঝা যায় এইডস-এর নতুন সংক্রমণ ঠেকানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে৷''

Aids in Südafrika
এইচ আই ভি আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়লেও বেশ কিছু সাফল্যের দৃষ্টান্তও রয়েছেছবি: picture-alliance / dpa/dpaweb

জরিপে দেখা গেছে, প্রতি তিন জনের একজন মনে করেন, এ পর্যন্ত নেয়া ব্যবস্থায় এইডস রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতাই সবচেয়ে বড় সাফল্যের সূচক৷ তার পরেই রয়েছে এইচআইভি প্রতিরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন এইডস-এর প্রসার রোধক ওষুধপত্র বের করা৷

মিশেল সিডিবে বলেন, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি এইডস আক্রান্ত ১৫টি দেশে, তরুণদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ শতকরা ২৫ ভাগ হ্রাস পেয়েছে৷ তার মধ্যে রয়েছে বতসোয়ানা, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, মালাউই এবং জিম্বাবোয়ে৷

আফ্রিকার কিছু অংশে সংক্রমণের হার কমানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও পূর্ব ইউরোপ আর মধ্য এশিয়ায় নতুন এইচআইভি সংক্রমণের হার বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক