1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোকা মারতে কাঠঠোকরা

সায়ান গ্রিফিথস, অটাওয়া, ক্যানাডা/এসি৩ জানুয়ারি ২০১৬

উত্তর অ্যামেরিকা মহাদেশের পূর্ব উপকূলে অ্যাশ গাছেদের সংকট: এমারাল্ড অ্যাশ বোরার নামের একটা পোকা তাদের সর্বনাশ করছে৷ গাছগুলো একেবারেই যেত, যদি না সেই খবর পেয়ে কাঠঠোকরার দল এসে হাজির হতো!

https://p.dw.com/p/1HWs5
Downy Woodpecker Specht Vogel Baum Natur Tier
ছবি: picture-alliance/dpa/P.Henry

পক্ষিবিশারদরা শুনলেই রাগ করবেন, কেননা কাঠঠোকরারা তো আর দঙ্গল বেঁধে বাস করে না৷ তবে তারা গাছের ফোকরে বাসা বাঁধে, আর গাছের বাকলে পোকামাকড় ঠুকরে খায়৷ অ্যাশ গাছের সবুজ পোকাটির ল্যাটিন নাম – এগ্রিলাস প্লানিপেনিস – বা ইংরেজি নাম –এমারাল্ড অ্যাশ বোরার – না জানলেও, কাঠঠোকরারা পোকাটিকে ভালোভাবেই চেনে ও দৃশ্যত সুখাদ্য বলে মনে করে৷

বিজ্ঞানীরা এমারাল্ড অ্যাশ বোরারকে চেনেন ২০০২ সাল যাবৎ, যখন মিচিগান রাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে পোকাটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়৷ এ পর্যন্ত সেই পোকা লক্ষ লক্ষ গাছের মৃত্যু ঘটিয়েছে৷ কাজেই তার মোকাবিলা করা দরকার – কিন্তু পন্থাটা কী? বিজ্ঞানীরা যখন তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন, তখন ভালো খবর এসেছে ক্যানাডার রাজধানী অটাওয়ার পক্ষিবিশারদদের কাছ থেকে৷ তারা নাকি দেখেছেন, রাজধানী ও তার পারিপার্শ্বিকে কাঠঠোকরাদের সংখ্যা বেড়ে তিনগুণ হয়ে গেছে – সব রেকর্ড ভঙ্গ করে! আর এই কাঠঠোকরারা নাকি সকলেই অ্যাশ গাছে বাসা বেঁধেছে৷

Baum mit blauer Farbe Markierung Ottawa TreeAzin Kanada EAB Larve asiatischer Eschenprachtkäfer
অ্যাশ গাছে যৌনকর্মে লিপ্ত দু’টি এমারাল্ড অ্যাশ বোরারছবি: Sian Griffiths

যেমন অটাওয়ার কাছে প্রখ্যাত গ্যাটিনো পার্ক, যেখানে বহু অ্যাশ গাছ কাটতে হয়েছে৷ আজ গ্যাটিনোতে কাঠঠোকরাদের ভিড়৷ শক্ত ঠোঁট দিয়ে কাঠ ফুটো করে পোকামাকড় ধরার এক্সপার্ট এই সাদা-কালো, মাথায় একটি লাল ফুটকি দেওয়া পাখিটি৷ এদের জিভ খুব লম্বা আর চ্যাটচ্যাটে, তা-তে আবার সরু সরু লোম বসানো থাকে; পোকার সন্ধান পেলে পাখিরা ঐ জিভ দিয়েই সেই পোকা টেনে বার করে৷ বলতে কি, এমারাল্ড অ্যাশ বোরার পোকার চেয়ে তার কীটই অ্যাশ গাছের পক্ষে বেশি বিষাক্ত – কাঠঠোকরারা সেই কীটকেই গাছের বাকলের ভেতর থেকে টেনে বার করে আনে৷ সাদা সাদা এই কীটই গাছের মৃত্যু ঘটায়৷

কীটনাশক দিয়ে যে এই আপদ দূর করার চেষ্টা করা হয়নি, এমন নয়৷ কিন্তু গাছের পর গাছে ইনজেকশন দিয়ে বিষপ্রয়োগের খরচা পোষায়নি৷ এরপর ভিমরুল দিয়েও কীট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে, কেননা ভিমরুলরা এই ধরনের পোকার ডিম ও তার কীট খেয়ে থাকে৷ কিন্তু ছ'হাজার ভিমরুল আর কতটা করবে৷ সে হিসেব এখনও চলেছে৷

এরই মধ্যে মাঠে নেমে গেল কাঠঠোকরারা, যদিও তারা এমারাল্ড অ্যাশ বোরার-এর ডিম ধ্বংস করতে পারবে কিনা, সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের সন্দেহ আছে৷ ওদিকে বিপদ তো আর কমেনি, বরং বেড়েই চলেছে৷ অটাওয়ার ফরেস্ট্রি সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট জানাচ্ছে, পোকা লাগার প্রথম বছরে দু'শোটি গাছ কাটতে হয়েছিল; পরে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় সাত হাজারে!

আপাতত ক্যানাডার সবুজে ঢাকা সুদৃশ্য রাজধানীতে অ্যাশ গাছের সবুজ পোকার সঙ্গে ভিমরুল আর কাঠঠোকরাদের যুদ্ধ চলতে থাকুক...৷

কি বন্ধুরা, দারুণ মজার না গল্পটা৷ জানান কেমন লাগলো, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য