1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোর্তুগালে প্রবল বর্ষণে ভূমি ধসে ৪০ জন নিহত

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০

পোর্তুগালের অ্যাটলান্টিক দ্বীপ ম্যাডেরাতে শনিবার প্রবল বর্ষণের পর আকস্মিক ধস নেমে এপর্যন্ত ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/M7Gw
পর্যটন কেন্দ্র ম্যাডেরাতে ভূমি ধসছবি: AP

এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই দেশটির প্রধানমন্ত্রী খোসে সোক্রাতেস সেখানে সফরে গেছেন৷ ম্যাডেরা দ্বীপটি পোর্তুগালের মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং এটি মূলত একটি পর্যটন কেন্দ্র৷

প্রবল বর্ষণে বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় সেখানকার অনেক অঞ্চল তলিয়ে গেছে৷ এছাড়া ঝোড়ো হাওয়ার কারণে বহু জায়গায় গাছপালা উপড়ে গেছে৷ রাস্তাঘাট ও সেতুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ অনেক জায়গায় গাছ উপড়ে আটকে গেছে সড়ক৷ কয়েক জায়গায় পানি, বিদ্যুৎ ও ফোনের লাইন কাটা পড়েছে৷

স্থানীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে৷ তবে নিহতদের মধ্যে কোন বিদেশি নেই বলে তারা নিশ্চিত করেছেন৷ এ পর্যন্ত অন্তত ৭০ জনকে প্রাথমিক চিকিত্সা দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷

এদিকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে যে, কয়েকজন ব্রিটিশ পর্যটককে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে৷ কয়েকজন ব্রিটিশ নাগরিক বলছেন, পুরো অঞ্চলটি এখন একটি ভূতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে৷ তাঁরা বলছেন, অবস্থা যে এত করুন হতে পারে সে ব্যাপারে কোনো পূর্বাভাস ছিলনা৷

Madeira / Hochwasser / Erdrutsch
সড়কগুলোর করুন অবস্থাছবি: AP

গাছ পড়ে সড়কগুলো আটকে যাওয়ায় উদ্ধার কাজে বেশ সমস্যা হচ্ছে৷ এছাড়া কয়েকটি সেতু ভেঙ্গে পড়ায়ও উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে বলে জানা গেছে৷ তবে আশার কথা হলো ম্যাডেরার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি এবং সেখানে ইতিমধ্যে বিমান চলাচল শুরু হয়ে গেছে৷

পোর্তুগালের সেনাবাহিনী সেখানে বিশেষ উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৫৬ জন উদ্ধারকর্মী, ৩৬ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী এবং বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর৷ এছাড়া দেশটির নৌবাহিনীও ইতিমধ্যে হেলিকপ্টার, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ত্রাণসহ সেখানে পৌঁছেছে৷

দেশটির প্রধানমন্ত্রী খোসে সোক্রাতেস ঘটনার পরপরই অঞ্চলটিতে সফর গেছেন৷ সেখানে তিনি বলেছেন, তাঁর সরকার সাহায্যের জন্য যা যা করা দরকার সবই করবে৷ সোক্রাতেস বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার স্থানীয় সরকারের সাথে মিলে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করবে৷

এদিকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রুই পেরেইরা-ও এখন সেখানে রয়েছেন৷ তিনি বলছেন, তাঁরা এখনো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন৷ প্রয়োজন হলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা চাওয়া হবে বলে তিনি জানান৷ এছাড়া যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের ময়নাতদন্ত করে শীঘ্রই তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷

সেখানকার স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা নানস্ উপত্যাকার উদ্ধার কাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ কারণ পাহাড় ঘেরা ঐ উপত্যাকায় উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছানোটাই অনেক দুরূহ হবে৷

প্রতিবেদনঃ জাহিদুল হক

সম্পাদনাঃ সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়