1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে হামলা

১৫ জুলাই ২০১৬

জাতীয় উৎসবের দিনে আবার সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলো ফ্রান্স৷ দক্ষিণের নিস শহরে আততায়ী ট্রাক চালিয়ে ও গুলি করে মানুষ হত্যার যজ্ঞে মেতে উঠলো৷ ঘটনার তদন্ত জোরকদমে শুরু হয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/1JPD6
নিস শহরে হামলা
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Anrigo

Scores killed in Nice truck attack

১৪ই জুলাই ফ্রান্সের জাতীয় দিবস৷ মূল অনুষ্ঠানটি প্যারিসে হলেও দেশের অন্যান্য শহরেও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয় দিনটি৷ ভূমধ্যসাগর উপকূলে বিলাসবহুল পর্যটনের জন্য পরিচিত নিস শহরের সমুদ্রতটেও এ দিন ছিল মানুষের ভিড়৷ সবার মনোযোগ ছিল আকাশে চমকপ্রদ আতশবাজির খেলার দিকে৷

রাত ১১টা নাগাদ সেই উৎসব শেষ হবার পর একটি বিশাল সাদা ট্রাক জনতার দিকে ধেয়ে আসে৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা গেল দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃতভাবে যত বেশি সম্ভব মানুষ হত্যার লক্ষ্যেই চালক এগিয়ে চলেছে৷ চালক তার আসন থেকে হ্যান্ডগান বা পিস্তল দিয়ে জনতার উপর নির্বিচারে গুলিও চালাতে থাকে৷ প্রায় দুই কিলোমিটার চলার পর পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়৷ ততক্ষণে কমপক্ষে ৮৪ জন নিহত ও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে৷

শুক্রবার সকালেও ঘটনাস্থলে সেই ভয়াবহ ঘটনার ছাপ দেখা গেছে৷ শহরের হাসপাতালগুলিতে আহত মানুষ ও তাদের আত্মীয়স্বজনরা গভীর উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছেন৷ অনেকে এখনো তাদের স্বজনদের খোঁজ করছেন৷

ফ্রান্সের সরকার এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবেই বিবেচনা করছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাকে আতাতায়ীর পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে৷ সে ছিল টিউনিশীয় বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক৷ তবে এই কাজে তাকে অন্য কেউ সাহায্য করেছিল কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়৷

৩১ বছর বয়স্ক এই স্থানীয় বাসিন্দার নাম এর আগেও পুলিশের খাতায় উঠেছিল, তবে সেই অপরাধের গুরুত্ব তেমন ছিল না বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম দাবি করছে৷ এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি৷ উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ফ্রান্সের ডিজঁ ও নঁৎ শহরে গাড়ি চালিয়ে এমন হামলার ঘটনা ঘটেছিল৷

গত নভেম্বর মাসে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর সরকার যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল, তার মেয়াদ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদের সরকার৷ নিস-এর ঘটনার পরেও ফ্রান্স সিরিয়া ও ইরাকে আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে অভিযান চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর, বলেন ওলঁদ৷

ফ্রান্সে আবার হামলার পর গোটা বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই ঘটনার চরম নিন্দা জানিয়ে এই দুর্দিনে ‘অ্যামেরিকার সবচেয়ে পুরানো সহযোগী' দেশের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেছেন৷

ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক বলেন, ‘‘এটি ফ্রান্স ও ইউরোপের জন্য দুঃখের দিন৷ যারা হামলার শিকার হলেন, তারা ফরাসি প্রজাতন্ত্রের মূলমন্ত্র, অর্থাৎ সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতা রক্ষার উৎসবে অংশ নিচ্ছিলেন৷ তাই এই ঘটনা আরও মর্মান্তিক৷''

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য