1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এ কেমন প্রতিবাদ!

১৮ এপ্রিল ২০১৭

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সব ভাস্কর্য উল্টে ফেলে রাখা হয়েছে৷বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মনে করছেন এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরাই জড়িত৷ তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য চলছে৷

https://p.dw.com/p/2bOK9
Bangladesch Skulptur in Rajshahi
ছবি: bdnews24.com

সোমবার রাতের আঁধারে কে বা কারা যেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সব ভাস্কর্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে৷ ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষকদের কার্যালয়ও বন্ধ করে দেয় তারা৷

খবরটি প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মন্তব্য আর বিশ্লেষণে মেতে ওঠেন অনেকে৷

টুইটারে সাংবাদিক অঞ্জন রায় লিখেন, ‘‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালযের চারুকলা অনুষদের উল্টে থাকা ভাস্কর্যগুলো চাপাতির কোপে মরা মানুষের মতোই মুখ থুবড়ে পড়ে আছে৷'' 

মোহাম্মদ মাইনুদ্দীন মনে করেন, এর পেছনে বড় কোনো ষড়যন্ত্র কাজ করছে৷ সেই ধারণা থেকেই তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি মনে করি তা সরকারের সাথে ইসলামি সংগঠনগুলোর বিবাদ তৈরির ষড়যন্ত্র, কৌশল৷''

তবে নাজমুল হক লিখেছেন, ‘‘ছাত্ররাই তছনছ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা ইন্সটিটিউটের পাঁচ শতাধিক ভাস্কর্য৷''

অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমেও এমন খবরই আসছে৷

বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভাস্কর্য উল্টানোর ঘটনায় চারুকলার সাত শিক্ষার্থী জড়িত বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন৷ শিক্ষকরা জানান, ঘটনায় জড়িতদের সবাই স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের মাস্টার্সের দুই শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানান, তারা ৩০-৪০ জন মিলে এই কাজ করেছেন৷ ভাস্কর্যগুলো সংস্কারের দাবি জানাতে এমনটি করেছেন বলে দাবি তাদের৷

সাংবাদিক হারুন উর রশীদ স্বপন প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা ভাস্কর্যের যে অবমাননা করল, তার কী শাস্তি হবে?''

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য