1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কংগ্রেসের নির্বাচনি ইশতাহার ২০১৪

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৬ মার্চ ২০১৪

বুধবার কংগ্রেসের নির্বাচনি ইশতাহার ২০১৪ প্রকাশ করলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ ইশতাহারে সার্বিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্নীতি ও মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলা করার এবং মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার অঙ্গীকার রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1BW5Y
Indien Wahlen Dritte Front
ছবি: Sajjad HussainAFP/Getty Images

বুধবার নতুন দিল্লিতে প্রকাশিত কংগ্রেসের ২০১৪ সালের নির্বাচনি ইশতাহার রচনায় সবথেকে বড় ভূমিকা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীর৷ এই ইশতাহার রচনার আগে তিনি মহিলা, যুব সমাজ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, রেল স্টেশনের মালবাহক, মৎস্যজীবী থেকে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে মত বিনিময় করে জানতে চান তাঁরা কী চান? কী তাঁদের সমস্যা? সেইভাবেই ইশতাহারে তাঁদের আশা আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ রাহুল গান্ধীর ভাষায়, ‘‘আপনাদের কণ্ঠস্বর, আমাদের অঙ্গীকার৷'' ২০০৯ সালে কংগ্রেসের নির্বাচনি ইশতাহারের ৯০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বলে দাবি করেন রাহুল গান্ধী৷ বিজেপিকে একহাত নিয়ে রাহুলের মন্তব্য ‘‘ ২০০৪ সালে বিজেপির ভারত শাইনিং স্লোগানের বেলুন এবারেও ফেটে যাবে৷'' জনমত সমীক্ষায় বিজেপির সম্ভাবনার কথা নস্যাৎ করে দেন তিনি৷

প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং তাঁর বক্তব্যে বলেন, উন্নয়নের জন্য আছে বিভিন্ন মডেল এবং মাপকাঠি৷ তার একটা গুজরাট মডেল৷ কিন্তু কংগ্রেসের মডেল সার্বিক প্রবৃদ্ধি৷ মুষ্টিমেয় জনগণের উন্নয়ন নয়৷ আপামর জনসাধারণের বিকাশ৷ বিরোধীদের ‘নীতি পঙ্গুত্বের' সমালোচনার জবাবে তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে তা মিথ্যা প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন৷ বলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের তুলনায় কংগ্রেস-জোট সরকারের রেকর্ড অনেক ভালো৷ এনডিএ সরকারের জমানায় প্রবৃদ্ধির হার যেখানে ছিল ৬.৮ শতাংশ, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন প্রথম ইউপিএ সরকারে তা ছিল ৮.৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারে ৭.৩ শতাংশ৷ জাতীয় প্রবৃদ্ধির প্রকৃত চিত্রটা পাওয়া এই ইস্তেহারে৷ গত ১০ বছরে কংগ্রেস শাসনে ১৪ কোটি লোক দারিদ্র-রেখার ওপরে উঠেছে, এমনটাই দাবি প্রধানমন্ত্রীর৷

Bharat Ratna Zeremonie Indien
সোনিয়া গান্ধী তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাংবিধানিক নীতিমালা কার্যকর করতে লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাবে কংগ্রেস পার্টিছবি: UNI

কংগ্রেসের নির্বাচনি ইশতাহারে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বলা হয়, ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস সরকার দুর্নীতি দমনে এক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলবে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে৷ তবে খুচরো বাজারে বিদেশি লগ্নির ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো‘ নীতি মেনে চলবে৷ জোর দেয়া হয় কর্মসংস্থানের ওপর৷ বেসরকারি ক্ষেত্রে যাতে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য কর্মসংস্থানের কোটা রাখার আইনি সংস্থান রাখা হবে৷ জোর দেয়া হয় স্বাস্থ্য, আবাসন, জল এবং গরিবদের পেনসন পাবার অধিকারের ওপর৷ দেশের আইনসভায় মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ এবং নারীদের ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করা হবে৷

সোনিয়া গান্ধী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভালো অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে ক্ষান্ত না থেকে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাংবিধানিক নীতিমালা কার্যকর করতে লাগাতার লড়াই চালিয়ে যাবে কংগ্রেস পার্টি৷ রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনি ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি থাকাটা দস্তুর, কিন্তু কার্যকালে তা বাস্তবায়নে থেকে যায় বিরাট ফারাক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য