1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছালো অস্ট্রেলিয়া দল

২৭ মে ২০১০

তাদের প্রথম খেলা ১৩ই জুন জার্মানির বিরুদ্ধে৷ ওদিকে জার্মানির ফরোয়ার্ড থমাস ম্যুলার ইটালিতে প্রশিক্ষণ শিবিরে পৌঁছেই চোট পেয়েছেন, তবে গুরুতর কিছু নয়৷

https://p.dw.com/p/NY7A
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম খেলা জার্মানির বিরুদ্ধে৷ চলছে জার্মান দলের প্রশিক্ষণছবি: AP

নয়তো ব্যাপারটা কোচ ইওয়াখিম লোয়েভ'এর পক্ষে চিন্তাজনক হয়ে উঠতে পারতো৷ তাঁর চোটের তালিকায় ইতিমধ্যেই রয়েছেন প্রথম বাছাই গোলরক্ষক রেনে আডলার, ক্যাপ্টেন মিশায়েল বালাক এবং মাঝমাঠের ক্রিস্টিয়ান ট্রেশ৷ ওদিকে লোয়েভ নতুন কাউকে মনোনয়ন করবেন না বলেছেন৷ এবং তাঁর চূড়ান্ত দল ঘোষণারও সময় হয়ে এলো৷

অস্ট্রেলিয়ার ‘সকারু'-রা বুধবার সন্ধ্যায় জোহান্নেসবার্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়, সেখানে বাছাই কিছু টিভি ক্রু আর ফটোগ্রাফারদের সংক্ষিপ্ত মওকা দেয় এবং তারপরই লাক্সারি বাসে করে হোটেল অভিমুখে রওনা হয়ে যায়৷ তারা আর কোনো সাক্ষাতকারই দেয়নি৷ তবে দলের ওলন্দাজ কোচ পিম ভেরবেক যে কথাটা বলেছেন, তা জার্মানির পক্ষে অনুধাবনযোগ্য৷ ভেরবেক বলেছেন: ‘‘অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রথম ম্যাচটি জেতা৷'' অর্থাৎ ১৩ই জুন ডারবানে জার্মানির বিরুদ্ধে জেতা৷ তারপর ১৯শে জুন রাস্টেনবার্গে ঘানার বিরুদ্ধে এবং ২৩শে জুন নেলসপ্রুইটে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলা৷

অথচ সবাই জানে এই গ্রুপ ‘ডি'-তে অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপ পর্যায় পার হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই৷ বুধবার যে বিশ্ব ব়্যাংকিং প্রকাশিত হয়েছে, তা'তে জার্মানি ছ'নম্বরে, সার্বিয়া ১৫ নম্বরে, অস্ট্রেলিয়া ২০ নম্বরে এবং ঘানা ৩২ নম্বরে৷ ফিফা ব়্যাংকিং-এর মাথায় রয়েছে ব্রাজিল, তারপরে স্পেন, পোর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস এবং ইটালি৷

যাই হোক, থমাস ম্যুলার বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগ খেলে দিন দুয়েক রেস্ট নিয়েই প্রশিক্ষণ শিবিরে পৌঁছায় মঙ্গলবার, এবং বুধবারই দলের সতীর্থদের সঙ্গে মাউন্টেন বাইক চালাতে গিয়ে থুতনিতে চোট পায়৷ এমনকি কয়েকটা স্টিচ পর্যন্ত করতে হয়৷ তবে হাড় কিংবা পেশীর কোনো চোট নেই৷ আর ম্যুলার যে মাউন্টেন বাইক চড়তে গিয়েছিল, তা'ও ট্রেনিং-এর অঙ্গ হিসেবেই৷

ওদিকে বুধবার জার্মানির জাতীয় ডোপিং প্রতিরোধী সংস্থা নাডা থেকে ছ'জন টেস্টারও এসে হাজির হন ট্রেনিং ক্যাম্পে৷ স্বভাবতই অঘোষিত৷ এবং তাঁরা নাকি ১৪ জন খেলোয়াড়ের স্যাম্পল নিয়েছেন৷ তবে নাডা এবং তাদের আন্তর্জাতিক সংস্করণ ওয়াডা'র দৌঁড় ঐ বিশ্বকাপ শুরু হওয়া অবধি৷ তার পর ডোপিং টেস্ট'এর দায়িত্ব থাকবে পুরোপুরি ফিফা'র হাতে৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার