1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে

২৬ জুন ২০১০

পারলনা দক্ষিণ কোরিয়া৷ তাই প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল উরুগুয়ে৷ দ্বিতীয় পর্বের প্রথম খেলায় ২-১ গোলে তাঁরা হারাল দক্ষিণ কোরিয়াকে৷

https://p.dw.com/p/O3zE
উরুগুয়ের প্রথম গোল উদযাপনছবি: AP

তবে বলতেই হচ্ছে, যোগ্য দল হিসেবেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলো উরুগুয়ে৷ খেলার আগে বিশেষজ্ঞরা যেমন বলছিলেন উরুগুয়ের সম্ভাবনার কথা, শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্য প্রমাণিত হলো৷ ম্যাচের শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে৷ এরপর দক্ষিণ কোরিয়া মরিয়া হয়ে ওঠে গোল পরিশোধের জন্য৷ একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে তাঁরা৷ আর উরুগুয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তাঁদের ঠেকাতে৷ তবে সফলতা পেতে কোরিয়ানদের অপেক্ষা করতে হয় ৬৮ মিনিট পর্যন্ত৷ এরপর আবার টনক নড়ে উরুগুয়ের৷ এরই এক পর্যায়ে ৮০ মিনিটের মাথায় চমৎকার একটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন প্রথম গোলের মালিক সুয়ারেজ৷ এনিয়ে তাঁর গোল সংখ্যা দাঁডালো তিন-এ৷ এরপর আবার দক্ষিণ কোরিয়া দুটি সুযোগ পায় খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনার৷ কিন্তু আর সম্ভব হয়নি৷ তাই এবারের মত থামতে হলো এশিয়ার দেশটিকে৷

পরের খেলাটি আর একটু পর যুক্তরাষ্ট্র ও ঘানার মধ্যে৷ এই ম্যাচে ফেভারিট বলে কেউ নেই৷ যদিও যুক্তরাষ্ট্র ইংল্যান্ডকে সরিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় পর্বে এসেছে, তবুও তাঁদের আর ঘানার শক্তি অনেকটা কাছাকাছিই বলা যায়৷ যুক্তরাষ্ট্রের যেমন আছে অদম্য টিম স্পিরিট৷ সেই সাথে যোগ দিয়েছে গত বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ঘানার কাছে ২-১ গোলে হারের প্রতিশোধ নেয়া৷ তাই বলা যায় সব মিলিয়ে ঘানার বিপক্ষে জ্বলে উঠতে একপ্রকার মুখিয়েই আছে মার্কিনিরা৷ আর ওদিকে ঘানার সঙ্গে রয়েছে পুরো আফ্রিকার সমর্থন৷ কারণ দ্বিতীয় পর্বে একমাত্র তাঁরাই আফ্রিকার প্রতিনিধি৷ এছাড়া তাঁরা শারীরিকভাবেও বেশ শক্তিশালী৷ তবে যে সমস্যাটা ঐ ম্যাচে ঘানাকে ভোগাতে পারে তা হলো দক্ষ স্ট্রাইকারের অভাব৷ কারণ প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচে ঘানা গোল করেছে মাত্র দুটি৷ তাও আবার পেনাল্টিতে৷ এদিকে আবার শোনা যাচ্ছে যে, ঐ ম্যাচটি দেখতে মাঠে উপস্থিত থাকবেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন৷ তো তাঁর উপস্থিতিও মার্কিনিদের ভাল খেলতে উৎসাহ দেবে বলে মনে করছেন অনেকেই৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়