‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিরাপত্তার ব্যাপারে কৌশলী' | পাঠক ভাবনা | DW | 31.03.2016
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিরাপত্তার ব্যাপারে কৌশলী'

তনু ধর্ষণ ও হত্যা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নীরবতার কারণ নিয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় পাঠকবন্ধুদের লেখা নানা মন্তব্য তুলে ধরা হলো৷

তনু হত্যার মতো এ রকম একটি বর্ববোরচিত হত্যার পরও প্রধানমন্ত্রী নীরব থাকায় ডয়চে ভেলের পাঠক নেহাল লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এখন নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে খুবই কৌশলী৷ স্পর্শকাতর ইস্যুতে কথা না বলাই হয়ত তিনি তাঁর জন্য মঙ্গলজনক মনে করেন৷ তাই প্রধানমন্ত্রী নিশ্চুপ!''

‘‘তনু হত্যা সম্পর্কে কয়েকদিন আগে দেখলাম, যেখানে তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে, ঐখানে সেনাবাহিনীর সীমানা প্রাচীর নাই বা ভাঙা৷ এ-ও বিশ্বাস করতে হচ্ছে৷ তনু তো গেছে, এখন ঐ ভাঙা দেওয়াল দিয়ে শত্রু পক্ষের কেউ এসে না আবার সেনাবাহিনীকে ধর্ষণ করে যায়৷ একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত রাষ্ট্রের জনগণের কষ্টের টাকার কী পরিমাণ খরচ হচ্ছে এই তিন বাহিনীর পেছনে৷ অথচ কোনো সরকারই আজ পর্যন্ত তার স্বচ্ছ হিসেব দেয় নাই৷'' এই মন্তব্য করেছেন সৈয়দ মো. বাহালুল৷

যে কোনো ভালো কাজে সকলে একসাথে হলে সফল হওয়া অবশ্যই সম্ভব৷ এ কথাটার একটি প্রমাণ দিয়ে তনু হত্যার বিচারের দাবিতে সকলকে আন্দোলনের একত্র হওয়ার ডাক দিয়েছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আরিফুল ইসলাম৷

‘‘সকল ছাত্র-ছাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি....সবার কি মনে আছে যে, শিক্ষা খাতে ভ্যাট না দেওয়ার জন্য আমরা আন্দোলন করেছিলাম? আমরা সেই আন্দোলনে সফলও হইছি৷ তা এখন কি আমরা পারি না আমাদের বোন তনুর জন্য আরেকটি আন্দোলন শুরু করতে? আমরা যদি আন্দোলন শুরু করি, তাহলে অবশ্যই আপনার-আমার বোন তনুর সঠিক বিচার পাবো, খোদার কসম ভাই আমরা পারব৷ আমাদেরকে পারতেই হবে৷ দরকার হলে দেশ অচল থাকবে৷ আমার বোন যদি ধর্ষিত হয়, তাইলে দেশ দিয়ে আমি করবটা কী? এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না৷ প্রয়োজনে তনুর সব ভাই সারা দেশ অচল রাখবে...৷''

বাংলাদেশে একটা অপরাধ ঢাকতেই কি আরেকটা অপরাধের জন্ম? হ্যাঁ, ঠিক এ রকমটাই বোঝাতে চেয়েছেন নিয়মিত পাঠক বাহার উদ্দিন তাঁর লেখা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যন্য মন্ত্রিদের দিয়ে যদি এ পর্যন্ত কোনো একটা অন্যায়ের সঠিক বিচার হতো, তাহলে কেউ একের পর এক অন্যায় করার সাহস পেত না৷ আমাদের সরকার এখন আছে একটা বিব্রত অবস্থায়৷ দেশে একটা ঘটনা ঘটার পর, একমাসও পার হয় না আরেকটা ঘটনা ঘটে৷ কারণ একটাকে ঢাকতে ঘটে আরেকটা ঘটনা৷ এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না৷''

বাহার উদ্দিনের মন্তব্যের জের ধরেই আবদুর রহিম বলছেন, ‘‘হয়ত সরকারও জড়িত৷ তা না হলে শেখ হাসিনা চুপ কেন? তনু হত্যা ঢাকার জন্য বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তারির কথা শোনা যাচ্ছে৷ একটার পর একটা কী করবে, তা তাদের রুটিন করা আছে৷''

‘‘তনু হত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চুপ করে আছেন আর চুপ থাকা মানে সম্মতির লক্ষণ৷'' এ কথা জানিয়েছেন মাসুম চৌধুরী৷

অন্যদিকে পাঠক মেহেদি হাসান শামীম কিন্তু তনু হত্যার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে সাংবাদিকদের আক্রমণ করছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর কথা পরে হবে৷ আগে বলেন আমাদের তথাকথিত গণতান্ত্রিক পত্রিকাগুলো নীরব ছিল কেন?''

‘‘অপরাধ করা আর অপরাধ সহ্য করা একই কথা৷ তাই তনুকে যারা হত্যা করেছে তারা তো অপরাধীই৷ তবে যারা চুপচাপ আছে, অর্থাৎ সরকার, তারাও সমান অপরাধী৷'' এই মত পাঠক নিলয়ের৷

পাঠক কাজি মানিক তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হয়ত বা জানেন, কারা এর সাথে জড়িত৷ তবে আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী ক'দিন পর বলবেন, ‘‘এটা জামাত-বিএনপির কাজ৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন