তনু হত্যার মতো এ রকম একটি বর্ববোরচিত হত্যার পরও প্রধানমন্ত্রী নীরব থাকায় ডয়চে ভেলের পাঠক নেহাল লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এখন নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে খুবই কৌশলী৷ স্পর্শকাতর ইস্যুতে কথা না বলাই হয়ত তিনি তাঁর জন্য মঙ্গলজনক মনে করেন৷ তাই প্রধানমন্ত্রী নিশ্চুপ!''
‘‘তনু হত্যা সম্পর্কে কয়েকদিন আগে দেখলাম, যেখানে তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে, ঐখানে সেনাবাহিনীর সীমানা প্রাচীর নাই বা ভাঙা৷ এ-ও বিশ্বাস করতে হচ্ছে৷ তনু তো গেছে, এখন ঐ ভাঙা দেওয়াল দিয়ে শত্রু পক্ষের কেউ এসে না আবার সেনাবাহিনীকে ধর্ষণ করে যায়৷ একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত রাষ্ট্রের জনগণের কষ্টের টাকার কী পরিমাণ খরচ হচ্ছে এই তিন বাহিনীর পেছনে৷ অথচ কোনো সরকারই আজ পর্যন্ত তার স্বচ্ছ হিসেব দেয় নাই৷'' এই মন্তব্য করেছেন সৈয়দ মো. বাহালুল৷
যে কোনো ভালো কাজে সকলে একসাথে হলে সফল হওয়া অবশ্যই সম্ভব৷ এ কথাটার একটি প্রমাণ দিয়ে তনু হত্যার বিচারের দাবিতে সকলকে আন্দোলনের একত্র হওয়ার ডাক দিয়েছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আরিফুল ইসলাম৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অহরহ৷ তার ওপর পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধের যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, সেটাও যথার্থ নয়৷ এছাড়া বিশ্বের মোট নারীর ৭ শতাংশ নাকি জীবনের যে কোনো সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
উন্নত বিশ্বের নারীরাও রেহাই পান না
ধর্ষণ শব্দটি শুনলেই মনে হয় এ ধরণের অপরাধ হয়ে থাকে শুধু অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে৷ আসলে কিন্তু মোটেই তা নয়৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই শতকরা ৩৩ জন মেয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়৷ এমনকি জার্মানির মতো উন্নত দেশের নারীরাও যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
ধর্ষিতা নারীরা জানাতে ভয় পান
জার্মানিতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত বা ধর্ষিত নারীদের সঠিক পদ্ধতিতে ‘মেডিকেল টেস্ট’-এর ব্যবস্থা করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত স্ত্রী বিশেষজ্ঞ ডা. সোনিয়া পিলস বলেন, ‘‘ধর্ষণের শিকার নারী লজ্জায় এবং আতঙ্কে থাকেন৷ তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে সে অভিজ্ঞতা বা ধর্ষক সম্পর্কে তথ্য জানাতে ভয় পান, কুণ্ঠা বোধ করেন৷ অনেকদিন লেগে যায় ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
ধর্ষককে ধরার জন্য দ্রুত ডাক্তারি পরীক্ষা
ধর্ষণের পর নারীদের কী করণীয় – এ বিষয়ে জার্মানির ধর্ষণ বিষয়ক নির্দেশিকায় কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ যেমন ধর্ষণের পর একা না থেকে কারো সাথে কথা বলা৷ গোসল, খাওয়া, ধূমপান, বাথরুমে যাওয়ার আগে, অর্থাৎ ধর্ষণের চিহ্ন মুঝে না যাবার আগে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো৷ এ পরীক্ষা করালে ধর্ষক কোনো অসুখ বা এইচআইভি-তে আক্রান্ত ছিল কিনা, তা জানা সম্ভব৷ নারীর শরীরে নখের আচড় বা খামচি থাকলে ধর্ষকের চিহ্ন সহজেই পাওয়া যায়৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
যাঁরা ধর্ষণের শিকার, তাঁদের জন্য জরুরি বিভাগ
ধর্ষক যেসব জিনিসের সংস্পর্শে এসেছে, অর্থাৎ অন্তর্বাস, প্যাড এ সব তুলে রাখুন৷ ছবিও তুলে রাখতে পারেন৷ নিজেকে দোষী ভাববেন না, কারণ যে ধর্ষণের মতো জঘণ্যতম কাজটি করেছে – সেই অপরাধী, আপনি নন৷ জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরের হাসপাতালে যৌন নির্যাতন বিষয়ক আলাদা জরুরি বিভাগ রয়েছে৷ তাছাড়া ধর্ষণ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে রয়েছে ‘গেভাল্ট গেগেন ফ্রাউয়েন’, যেখানে ২৪ ঘণ্টাই টেলিফোন করা যায়৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
গ্রুপ থেরাপি
যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার নারীদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য জার্মানিতে রয়েছে গ্রুপ থেরাপি, যার সাহায্যে নারীরা আবার সমাজে সহজভাবে মিশতে পারেন এবং তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি সহজে ভুলে যেতে পারেন৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
সবচেয়ে বেশি যৌন অপরাধ হয় বাড়িতেই
ভারতের কোথাও না কোথাও প্রতি ২২ মিনিটে একটি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে৷ তাই আদালতের নির্দেশে ভারতের পুলিশ বিভাগ এক সমীক্ষা চালিয়েছিল দিল্লির ৪৪টি এলাকায়৷ চলতি বছরের গত আট মাসে ২,২৭৮টি ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং যৌন অপরাধের তদন্তের ফলাফলে দেখে গেছে: ১,৩৮০টি ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা হলেন পরিবারের লোকজন এবং পরিচিতজনেরা৷ অর্থাৎ নিজের বাড়িতেও মেয়েরা নিরাপদ নয়!
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
সঠিক বিচার চাই
২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দিল্লিতে গণধর্ষণ ঘটনার পর, ভারতে ঘটা করে বিচার বিভাগীয় কমিশন বসিয়ে ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ দমনে আইন-কানুন ঢেলে সাজানো হয়৷ শাস্তির বিধান আরো কঠোর করা হয়৷ কিন্তু তাতে যৌন অপরাধের সংখ্যা না কমে বরং বেড়েছে৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার
বাংলাদেশে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১১ সালে ৬২০ জন, ২০১২ সালে ৮৩৬ জন, ২০১৩ সালে ৭১৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ মাত্র ছ’মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি এবং এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮২ জন৷ তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং পরে হত্যার ঘটনাও অনেক বেড়েছে৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
নারীর পোশাকই কি ধর্ষণের জন্য দায়ী?
বাংলাদেশের একজন পুলিশ কর্মকর্তা একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশের নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়াভাবে, বেপর্দায় চলাফেলার কারণে ধর্ষণের শিকার হন৷’’ পুলিশের কর্মকর্তার দাবি, ধর্ষণের দায় প্রধানত নারীদের৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘বখাটে ছেলেরা তো ঘোরাফেরা করবেই৷’’ এ কথা শুধু পুলিশ কর্মকর্তার নয়, ভারত-বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থাই এরকম৷ ধর্ষণ বন্ধ করতে এই মধ্যযুগীয় চিন্তা, চেতনার পরিবর্তন প্রয়োজন৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
ছোট বেলা থেকে সচেতন করতে হবে
ধর্ষণ সম্পর্কে ছোটবেলা থেকে সঠিক ধারণা দিলে স্বাভাবিকভাবে ধর্ষণের সংখ্যা কমবে৷ তাছাড়া পাঠ্যপুস্তকেও বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত৷ ধর্ষিতা নারীকে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হতে হয়, সে সম্পর্কেও সচেতনতা দরকার৷ অনেকে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন৷ গোটা সমাজও নারীকেই দোষ দিয়ে থাকে৷ ডাক্তারি বা মনস্তাত্ত্বিক সাহায্য ছাড়াও প্রয়োজন পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সমাজের বন্ধুবৎসল আচরণ৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
‘‘সকল ছাত্র-ছাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি....সবার কি মনে আছে যে, শিক্ষা খাতে ভ্যাট না দেওয়ার জন্য আমরা আন্দোলন করেছিলাম? আমরা সেই আন্দোলনে সফলও হইছি৷ তা এখন কি আমরা পারি না আমাদের বোন তনুর জন্য আরেকটি আন্দোলন শুরু করতে? আমরা যদি আন্দোলন শুরু করি, তাহলে অবশ্যই আপনার-আমার বোন তনুর সঠিক বিচার পাবো, খোদার কসম ভাই আমরা পারব৷ আমাদেরকে পারতেই হবে৷ দরকার হলে দেশ অচল থাকবে৷ আমার বোন যদি ধর্ষিত হয়, তাইলে দেশ দিয়ে আমি করবটা কী? এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না৷ প্রয়োজনে তনুর সব ভাই সারা দেশ অচল রাখবে...৷''
বাংলাদেশে একটা অপরাধ ঢাকতেই কি আরেকটা অপরাধের জন্ম? হ্যাঁ, ঠিক এ রকমটাই বোঝাতে চেয়েছেন নিয়মিত পাঠক বাহার উদ্দিন তাঁর লেখা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যন্য মন্ত্রিদের দিয়ে যদি এ পর্যন্ত কোনো একটা অন্যায়ের সঠিক বিচার হতো, তাহলে কেউ একের পর এক অন্যায় করার সাহস পেত না৷ আমাদের সরকার এখন আছে একটা বিব্রত অবস্থায়৷ দেশে একটা ঘটনা ঘটার পর, একমাসও পার হয় না আরেকটা ঘটনা ঘটে৷ কারণ একটাকে ঢাকতে ঘটে আরেকটা ঘটনা৷ এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না৷''
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
যেখানে হামলার শিকার অভিজিৎ, বন্যা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার ফুটপাথ৷ লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায়ের নিহত হবার এই জায়গাটা নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রেখেছে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ হামলায় তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
বেঁচে গেছেন বন্যা
হামলার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা৷ দুষ্কৃতিকারীরা তাঁকে কুপিয়ে জখম করলেও প্রাণে বেঁচে যান অ্যামেরিকায় বসবাসকারী এই ব্লগার৷ বর্তমানে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
নির্বাক অজয় রায়
ছেলের মৃত্যুর খবরে নির্বাক নিহত অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায়৷ আজয় রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
ভালোবাসার ফুল
লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায়ের রক্তে মাখা ফুটপাথে ভালোবাসার ফুল৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
প্রতীকী প্রতিবাদ
অভিজিৎ রায়ের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি-র সামনের রাজু ভাস্কর্যের চোখগুলো কালো কাপড়ে বেধে দেয়া হয়৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
ছাত্র-শিক্ষকদের মানববন্ধন
লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যা এবং তাঁর স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যাকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে ছাত্র-শিক্ষকদের মানববন্ধন৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
অবস্থান কর্মসূচি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি-র সামনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্টের অবস্থান কর্মসূচি৷
-
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ, বিচারের দাবি
মানববন্ধন
লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের মানববন্ধন৷
বাহার উদ্দিনের মন্তব্যের জের ধরেই আবদুর রহিম বলছেন, ‘‘হয়ত সরকারও জড়িত৷ তা না হলে শেখ হাসিনা চুপ কেন? তনু হত্যা ঢাকার জন্য বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তারির কথা শোনা যাচ্ছে৷ একটার পর একটা কী করবে, তা তাদের রুটিন করা আছে৷''
‘‘তনু হত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চুপ করে আছেন আর চুপ থাকা মানে সম্মতির লক্ষণ৷'' এ কথা জানিয়েছেন মাসুম চৌধুরী৷
অন্যদিকে পাঠক মেহেদি হাসান শামীম কিন্তু তনু হত্যার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে সাংবাদিকদের আক্রমণ করছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর কথা পরে হবে৷ আগে বলেন আমাদের তথাকথিত গণতান্ত্রিক পত্রিকাগুলো নীরব ছিল কেন?''
‘‘অপরাধ করা আর অপরাধ সহ্য করা একই কথা৷ তাই তনুকে যারা হত্যা করেছে তারা তো অপরাধীই৷ তবে যারা চুপচাপ আছে, অর্থাৎ সরকার, তারাও সমান অপরাধী৷'' এই মত পাঠক নিলয়ের৷
-
শিশুদের নিয়ে মন খারাপ করা কিছু খবর
সাত মাসে ৬১ গণধর্ষণ
শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন ২৬৭টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম’ এর হিসেবে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ৬১টি শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে৷ সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই তথ্য জানায় ফোরামটি৷ একই সময়ে ধর্ষণ, উত্ত্যক্তসহ যৌন সহিংসতার শিকার হয় ৩৪৭টি শিশু৷ এর মধ্যে চারটি ছেলেশিশুও রয়েছে৷
-
শিশুদের নিয়ে মন খারাপ করা কিছু খবর
বয়স ১৫ হওয়ার আগেই বিয়ে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে ২৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় তাদের বয়স ১৫ পার হওয়ার আগে৷ আর ৬৫ শতাংশের বিয়ে হয় বয়স ১৮ পার হওয়ার আগে৷
-
শিশুদের নিয়ে মন খারাপ করা কিছু খবর
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত৷ এর মধ্যে প্রায় ১৭ লাখেরও বেশি শিশুর বাস খোদ ঢাকা শহরে৷ বাংলাদেশ সরকার ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি কাজে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করলেও আদতে তা মানা হচ্ছে না৷ সরকারিভাবে নেই কোনো নজরদারির ব্যবস্থা৷
-
শিশুদের নিয়ে মন খারাপ করা কিছু খবর
কিশোর অপরাধী
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবছর কমপক্ষে দুই হাজার শিশুকে নানা অপরাধে আটক করা হয়৷ শিশু অধিকার ফোরামের হিসেবে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ২৭৬ জন শিশুকে অস্ত্র ও মাদক বহনসহ নানা অভিযোগে আটক করা হয়৷
-
শিশুদের নিয়ে মন খারাপ করা কিছু খবর
মাত্র তিনটি
আইন অনুযায়ী শিশু-কিশোর অপরাধীদের বিচার করা হয় কিশোর আদালতে৷ এরপর বিচার শেষে শাস্তি ভোগের জন্য তাদের শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর কথা৷ কিন্তু বাংলাদেশে এমন কেন্দ্র আছে মাত্র তিনটি৷ গাজীপুরে দু’টি এবং যশোরে একটি৷ এর মধ্যে গাজীপুরের একটি মেয়েদের জন্য৷ সব মিলিয়ে এই তিনটির ধারণ ক্ষমতা ৬০০৷ অর্থাৎ আটক শিশুদের বড় একটি অংশের জায়গা উন্নয়ন কেন্দ্রে হয় না৷ ফলে তাদের কারাগারে থাকতে হয়৷
লেখক: জাহিদুল হক
পাঠক কাজি মানিক তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হয়ত বা জানেন, কারা এর সাথে জড়িত৷ তবে আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী ক'দিন পর বলবেন, ‘‘এটা জামাত-বিএনপির কাজ৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ