1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রাগৈতিহাসিক মূর্তিও ব্যান!

২ মার্চ ২০১৮

মূর্তিটি প্রাগৈতিহাসিক সময়ের৷ তবু যৌনতার অপরাধে তা ব্যান করে দিয়েছিল ফেসবুক৷ হইচই হওয়ায় শেষপর্যন্ত অবশ্য নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ৷

https://p.dw.com/p/2tYuj
Venus von Willendorf
ছবি: picture-alliance/H.Fohringer

যৌনতা এবং নগ্নতা কতদূর শিল্পগ্রাহ্য, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক৷ অতীতেও হয়েছে, এখনো চলছে৷ কিন্তু তাই বলে প্রাগৈতিহাসিক সময়ের বিখ্যাত মূর্তিকেও বিতর্কে জড়িয়ে ফেলতে হবে! আশ্চর্য হলেও তেমনটাই ঘটেছে সম্প্রতি৷ প্রায় ৩০ হাজার বছর আগের একটি বিখ্যাত নারী মূর্তিকে ব্যান করে দিয়েছিল ফেসবুক৷ যদিও দীর্ঘ টালবাহানার পর নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে ফেসবুক এবং ওই মূর্তিটির ওপর থেকে ব্যান তুলে নেওয়া হয়েছে৷

গত ডিসেম্বর মাসে ইতালির এক শিল্প সমালোচক লাওরা ঘিয়ান্ডা ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন৷ ভিয়েনার মিউজিয়ামে গিয়ে ৩০ হাজার বছর আগের নগ্ন নারী মূর্তিটির ছবি তোলেন তিনি৷ অস্ট্রিয়ার উইলেনডর্ফ গ্রাম থেকে ওই মূর্তিটি পাওয়া গিয়েছিল৷ বলা হয়, ইতিহাস পূর্ব সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নারীমূর্তি ওটি৷ ভিয়েনার জাদুঘরেও ওই মূর্তিটি দেখার জন্য সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়৷ লাওরা মূর্তিটির ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন৷ মুহূর্তের মধ্যে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়৷ আর তারপরেই ফেসবুক ছবিটিকে ব্লক করে দেয়৷ বলা হয়, নগ্নতার কারণেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ছবিটিকে ব্যান করা হলো৷

স্বভাবতই এ হেন ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন লাওরা৷ তিনি লেখেন, সভ্যতা এবং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এও এক ধরনের যুদ্ধ৷ লাওরাকে সমর্থন জানিয়ে আরো অনেকে ফেসবুকের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন৷ তবে কেবলমাত্র ব্যক্তিগত বিরোধিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি বিষয়টি৷ ভিয়েনার জাদুঘরটির তরফ থেকেও একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে ঘটনার নিন্দা করা হয়৷ বলা হয়, এরকম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহাসিক বস্তুকে ফেসবুক ব্যান করে অন্যায় করেছে৷ এর ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব অপরিসীম৷ এরপরেই নড়চড়ে বসে ফেসবুক৷ লিখিত ভাবে তারাও ভুল স্বীকার করে৷ বলা হয়, সাধারণত ফেসবুকে কোনোরকম নগ্নতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না৷ কিন্তু ওই মূর্তিটিকে ব্যান করা তাদের অন্যায় হয়েছে৷

কিন্তু এরপরেও থেমে থাকেনি বিতর্ক৷ অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ফেসবুকে অনেকেই যে ধরনের বিতর্কিত পোস্ট করেন, সেগুলির বিষয়েও একইরকম কড়া মনোভাব কেন দেখানো হয় না? যে ধরনের অশ্লীলতা কিংবা হিংসাকে ফেসবুকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় তা কি নগ্নতার চেয়ে কোনো অংশে কম?

বস্তুত এই ঘটনার পর আবার সামনে চলে এসেছে একটি পুরনো বিতর্ক৷ বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুক গুস্তাভে কোরবেটসের ‘দ্য ওরিজিন ওফ দ্য ওয়ার্ল্ড' ছবিটিও ব্যান করেছিল৷ সেখানেও নগ্নতার প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছিল৷ আগামী ১৫ মার্চ ফ্রান্সের আদালত সে বিষয়ে তাদের রায় জানাবে৷

ডাগমার ব্রেইটেনবাখ/এসজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য