প্রাণীরা যখন মনোচিকিৎসক

প্রাণী থেরাপির একটি দৃষ্টান্ত হলো ডলফিন বা শুশুকের সাথে পানিতে সাঁতার দেয়া৷ শিশুদের কাছে এটা বেশ আনন্দদায়ক৷ তবে প্রাণী অধিকার কর্মীরা এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন৷

অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে মনোচিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দিয়েছেন, কিন্তু সেখানে সাহায্য করেছে কুকুররা৷ বিশেষ করে প্রবীণদের হাসাতে এবং আস্থা অর্জন করতে এদের তুলনা নেই৷ বৃদ্ধাশ্রমে প্রবীণদের আনন্দে রাখেন তাঁদের পোষা কুকুরটি৷

গবেষণায় দেখা গেছে বাড়িতে পোষা কুকুর বা বিড়াল থাকলে তা মানসিক চাপ মোকাবিলায় মানুষকে সাহায্য করে৷

মনোচিকিৎসকরা বলেন, প্রাণীরা তাদের মালিকদের প্রতি ‘ননজাজমেন্টাল’, যা মানব বন্ধুদের ক্ষেত্রে প্রায় বিরল৷ তাই পোষা প্রাণীরা শিশুদের আত্মগ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করে৷

ছবিতে দেখা যাচ্ছে ভারতের একজন প্রতিবন্ধী শিশু ঘোড়ার পিঠে বসে আছে৷ ঘোড়ার শরীরে যে নড়াচড়া হয়, সেটাই এই শিশুটির থেরাপি হিসেবে কাজ করে৷

পোল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশুদের থেরাপি দেয়ার জন্য চিলি থেকে ৩৮টি আলপাকা আমদানী করা হয়েছিল৷

জার্মানির হানোফার শহরের কাছে লুনেবুর্গ হিথ-এর সেরেঙ্গেটি পার্কের ছবি এটি৷ এখানে মনোচিকিৎসকরা তাদের রোগীদের নিয়ে পার্কে গেছেন, যেখানে রোগীরা জিরাফদের থাওয়াচ্ছে৷ এটা নাকি রোগীদের অনেকটা উপকার করে৷

জিরাফ ছাড়াও মাদাগাস্কারের লেমুর-দেরও খাবার খাওয়ান মানসিক সমস্যাক্রান্তরা৷ গবেষকরা পাঁচ বছর ধরে চালানো এই গবেষণায় দেখার চেষ্টা করছেন, আদৌ এটা তাদের রোগ উপশমে সাহায্য করে, নাকি এটা সাময়িক একটা প্রশান্তি দেয়৷

বেলুগা তিমির সাথে সাঁতরানো যে কোনো ব্যক্তির জন্যই একটা বিশেষ অভিজ্ঞতা৷ তবে প্রাণী অধিকার কর্মীদের মতে এটার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত৷ কেননা থেরাপির সময় পানি হতে হয় উষ্ণ৷ আর সুমেরুর এই প্রাণীরা গরম পানিতে অভ্যস্ত নয়৷ তাই সময়ের আগেই তাদের মৃত্যু হয়৷

যেখানে কুকুর আর বিড়াল সহজলভ্য সেখানে শুশুক আর তিমি থেরাপির কি দরকার!