1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলো তৃণমূল কংগ্রেস

১৮ মার্চ ২০১১

আগামী মাসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল ঐকমত্যে পৌঁছোবার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ২২৮টি আসনের প্রার্থী তালিকা আজ প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷

https://p.dw.com/p/10c7Z
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (ফাইল ফটো)ছবি: AP

কংগ্রেস হাইকমান্ড আরো দু'একদিন সময় চাইলেও মমতা বন্দোপাধ্যায় আজ আংশিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বুঝিয়ে দিলেন দলের নির্বাচনী স্বার্থে আর বিলম্ব করা উচিত হবে না৷ আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেসের ২২৮টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ তবে জোটের দরজা খোলা রেখে ৬৪টি আসন তুলে রাখলেন কংগ্রেসের জন্য৷ আর দুটি আসন এসইউসিআই-এর জন্য৷ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হলে ৬৪টি আসনের প্রার্থী তালিকাও তৈরি জানান মমতা বন্দোপাধ্যায়৷

২২৮টি আসনে সমাজের সবস্তরের প্রতিনিধিত্ব থাকছে৷ প্রশাসক, শিল্পপতি থেকে শুরু করে শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, গরিব ও তপসিলি৷ ২২৮টির মধ্যে রয়েছেন ৪২জন সংখ্যালঘু এবং ৩৪জন মহিলা প্রার্থী৷ কেন তৃণমূল একতরফা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন,তার কারণ হিসেবে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, কংগ্রেস হাইকমান্ড এবং শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ভোটের তারিখ ঘোষণার পর থেকে গত ১৮দিন ধরে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে৷ গতকাল আসন-সমঝোতা নিয়ে ঐকমত্য হবার পরও কেন তাতে সবুজ সঙ্কেত দিল না কংগ্রেস তা বোধগম্য নয়৷

কংগ্রেসের তরফেও জোট নিয়ে কোন সংশয় রাখা হয়নি৷ বলা হয়েছিল তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেই ভোটে নামবে তারা৷ যদিও প্রদেশ কংগ্রেস প্রার্থী তালিকা তৈরি রেখেছে, দু'দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আসন-সমঝোতা চূড়ান্ত হলেই যাতে তালিকা ঘোষণা করা যায়৷ আসন-সমঝোতায় আটকাচ্ছে কোথায় ? আটকাচ্ছে আসন সংখ্যা নিয়ে এবং আসনের গুণগত সম্ভাবনা নিয়ে৷ অর্থাৎ যেসব আসনে যে-দলের প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত, সেইসব আসন নিজেদের হাতছাড়া করতে চাইছে না দু'দলই৷ যেমন ২০০৬-এর বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস যে ২১টি আসনে জিতেছিল সেগুলি থাকবে তাদেরই হাতে৷ প্রাথমিক দরকাষাকষির পর সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী কংগ্রেস চাইছে এখন ৭০টি আসন আর তৃণমূল ছাড়তে রাজি ৬৪টি আসন৷

প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও আসন-সমঝোতা হলে যদি দেখা যায় কোনো আসন নিয়ে দ্বন্দ্ব হচ্ছে তাহলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র জমা দেবার পরও তা প্রত্যাহার করা যায়৷ রাজ্যের ২৯২টি আসনে ৬দফা ভোটের প্রথম দফা ১৮ই এপ্রিল৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী