1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রয়াত লোকি শ্মিটকে হামবুর্গবাসীদের বিনত শ্রদ্ধা

২২ অক্টোবর ২০১০

সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট শ্মিটের স্ত্রী সদ্যপ্রয়াত লোকি শ্মিট-এর সম্মানে বন্দর নগরী হামবুর্গের পৌরভবনে পতাকা অর্ধনমিত৷ লাইনে দাঁড়ানো মানুষ শোকপুস্তকে প্রকাশ করেছেন এই ব্যতিক্রমী নারীর প্রতি তাঁদের অকৃত্রিম শ্রদ্ধ

https://p.dw.com/p/PlSj
Loki Schmidt
প্রয়তা লোকি শ্মিটছবি: picture-alliance/ dpa

১৯৮০ সাল থেকেই লোকি শ্মিট বছরের সেরা একটি ফুল নির্বাচন করে এসেছেন৷ ২০১১ সালের সেরা ফুলটিও তিনি পছন্দ করে গেছেন - এক বিশেষ জাতের লিলি ফুল, জার্মানরা বলে ‘ম্যোরলিলি'৷ উদ্ভিদবিজ্ঞানের পরিভাষায় এর নাম ‘নারথেসিউম অসিফ্রাগুম'৷ এখবর দিয়েছে লোকি শ্মিট ফাউন্ডেশন৷ কিন্তু তিনি নিজে আর নেই৷ প্রয়াত হলেন ৯১ বছর বয়সে৷

প্রাক্তন জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট শ্মিটের স্ত্রী হিসেবেই নিজের অস্তিত্বকে সীমিত রাখেননি লোকি৷ শ্মিটের সঙ্গে সেই ১৯৪২ সাল থেকে তাঁর ৬৮ বছরের সংসারের বাইরেও ছিল তাঁর নিজের এক জগৎ৷ একেবারে অল্প বয়স থেকেই নিজের দায়দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন তিনি৷ সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে হিসেবে ভাইবোনের দেখাশোনা করতে হয় তাঁকে৷ সব কাজ সেরে রাতের বেলা স্কুলের পড়া তৈরি৷ স্মৃতিচারণ করে একবার বলেছিলেন, ‘‘ঠিক ঐ সময় বাবা আমায় এক কাপ কফি করে দিতেন৷ তারপর পিরিচের ওপর একটা সিগারেট রাখতেন৷ আস্তে করে পিরিচটা ঠেলে দিতেন আমার দিকে৷''

Helmut Schmidt Loki Schmid
স্বামী হেলমুট শ্মিটের সঙ্গে লোকিছবি: picture-alliance/ dpa

হেলমুট শ্মিট আর তিনি স্কুলের সাথী৷ দশ বছর বয়সে দুজনের একসঙ্গে সিগারেট খাওয়া শুরু৷ স্কুল জীবনের সখ্য একদিন রূপ নেয় ভালবাসার৷ বিয়ে করেন তাঁরা৷ লোকি শ্মিট শুরু করেন স্কুল শিক্ষয়ত্রীর জীবন৷ যুদ্ধ ফেরত হেলমুটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা নিতে সংসারের দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে৷ এক সময় শুরু হয় হেলমুট শ্মিটের রাজনৈতিক জীবন৷ বনে অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন৷ তারপর জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন তিনি৷ শৃঙ্খলা আর দায়িত্বের বোধের কারণে চ্যান্সেলর পত্নী হিসেবে সব দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে লোকির অসুবিধা হয়নি৷ তবে তার পাশাপাশি চলেছে তাঁর নিজের জগৎটিও৷ বিপন্ন গাছগাছালি ও ফুল সুরক্ষায় তৎপর হয়েছেন৷ বই লিখেছেন গাছপালা নিয়ে৷ পেয়েছেন পুরস্কার৷

চ্যান্সেলর পদ ছাড়ার পর থেকে শ্মিট ও লোকি হামবুর্গে বাস করেছেন৷ লোকির ইচ্ছা ছিল, স্বামীর সঙ্গে তাঁদের বিয়ের ৭০ তম বার্ষিকী পালন করবেন৷ তাঁর পরিপূর্ণ জীবনে সেই ইচ্ছাটি অপূর্ণ রয়ে গেল৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ