1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রয়োজনে গ্রিসকে সাহায্য করতে প্রস্তুত ইউরোপীয় ইউনিয়ন

১৬ মার্চ ২০১০

একের পর এক অপ্রিয় কর্মসূচি সত্ত্বেও গ্রিস শুধু নিজস্ব শক্তি প্রয়োগ করে আর্থিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না – এমনটা ক্রমশঃ স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ এই অবস্থায় গ্রিসকে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷

https://p.dw.com/p/MUVK
কোনো ঝুঁকি না নিয়ে প্রয়োজনে গ্রিসের জন্য সাহায্য প্রস্তুত রাখছে ইউরোপছবি: DW-Montage/bilderbox.de

গ্রিসের আর্থিক সঙ্কটের ফলে বিপন্ন হয়ে পড়েছে গোটা ইউরো এলাকা৷ অভিন্ন মুদ্রা চালু হওয়ার পর গত ১১ বছরে এমন সঙ্কট কখনো দেখা যায় নি৷ গ্রিসের সরকার ইতিমধ্যে একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও শুধু নিজস্ব উদ্যোগে বিপদ থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা গ্রিসের নেই – তা ক্রমশঃ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ ফলে বিপুল ঋণের ভারে জর্জরিত গ্রিস নিরুপায় হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে এবং সেক্ষেত্রে সেই আবেদন মঞ্জুর করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ তবে জার্মানির এক সরকারী মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেছেন, সেই সম্মেলনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আশা কম৷ গ্রিস ইতিমধ্যে ইউরো এলাকার মন্ত্রীদের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে৷

ই.ইউ.-র বর্তমান সভাপতি দেশ স্পেনের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী এলেনা সালগাদো বলেছেন, গ্রিস আনুষ্ঠানিকভাবে সাহায্যের আবেদন জানালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন৷ দুই দিন ধরে ইউরো এলাকার মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় এমন এক সাহায্য কর্মসূচির রূপরেখা স্থির করা হয়েছে৷ সোমবার সন্ধ্যায় প্রক্রিয়াগত জটিলতা দূর করে দ্রুত আর্থিক সহায়তার পথ খুলে দেওয়া হয়েছে৷ মঙ্গলবার ই.ইউ.-র বাকি দেশগুলিও আলোচনায় যোগ দিয়েছে৷ সরাসরি সহায়তা, ঋণ বা ঋণের গ্যারেন্টি – বিভিন্ন ভাবে গ্রিসকে সাহায্য করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে, যদিও এর অঙ্ক সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায় নি৷ ইউরো গ্রুপ'এর প্রধান ও লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী জঁ-ক্লোদ ইয়ুঙ্কার অবশ্য গ্রিসের ঋণের ক্ষেত্রে ইউরোপের গ্যারেন্টি'র সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘যদি একান্ত প্রয়োজন দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে আমরা ইউরোপীয় কমিশনের তত্ত্বাবধানে এবং পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রিসের জন্য দ্বিপাক্ষিক স্তরে সাহায্য করবো৷ কিন্তু গ্রিসের নিজস্ব কর্মসূচি সফল হলে এই সাহায্যের প্রয়োজন নাও হতে পারে৷''

গ্রিসের আর্থিক সঙ্কটের পরিণাম শুধু সেদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না৷ গ্রিসের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারের একাংশ যেভাবে ফাটকাবাজির মাধ্যমে মুনাফা করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তার ফলে শঙ্কিত ইউরোপের নেতারা৷ গ্রিসের সঙ্কটের খবর পাওয়ার পর ইউরো'র বিনিময় মূল্য আচমকা কমে গিয়েছিল৷ এখনো তাতে কোন পরিবর্তন আসে নি৷ ১৬টি দেশ একই সূত্রে বাঁধা থাকায় বিশাল এক এলাকার অর্থনীতি কতটা বিপন্ন হয়ে উঠতে পারে – তা গ্রিসের ঘটনার ফলে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে৷ ফলে প্রচলিত নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে আপাতত গ্রিসে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর ইউরোপীয় নেতারা৷ ভবিষ্যতে এমন মারাত্মক বিপদ এড়াতে কী করা উচিত, সেবিষয়েও ভাবনা-চিন্তা চলছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা. আব্দুল্লাহ আল ফারূক