1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফরাসি ইহুদি স্কুলে হামলার ঘটনায় ২০ বছরের কারাদণ্ড

৩ নভেম্বর ২০১৭

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য আবদেলকাদের মেরাহ নামে এক ব্যক্তিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷ তবে ২০১২ সালে টুলুজ শহরে সাত জনকে হত্যার দায়ে যখন তার ভাই মোহাম্মদ মেরাহকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/2myxm
ছবি: Getty Images/AFP/S. de Sakutin

বৃহস্পতিবার প্যারিসের একটি আদালত আলজেরিয়ান বংশোদ্ভুত ফরাসি নাগরিক মোহাম্মদ মেরাহ-এর ভাইকে এই সাজা দেন৷ 

আবদেলকাদেরের বিরুদ্ধে সেই সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে৷ তবে তার ছোট ভাই মোহাম্মদ যে সাত জনকে হত্যা করেছে, তাতে সে সরাসরি জড়িত ছিল না৷ সেই ঘটনার কয়েক দিন পর অবশ্য  পুলিশের এক অভিযানে নিজের বাসায় নিহত হন মোহাম্মদ

রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, ‘‘আবদেলকাদেরকে তার ভাই সন্ত্রাসী আক্রমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেছিল৷ তবে তার ভাই কোথায় এই আক্রমণ করবে বা আদৌ কী ধরনের অপরাধ করবে, সে সম্পর্কে কিছু জানতেন আবদেলকাদের- এই মামলার কোথাওই এটা প্রমাণ হয়নি৷'' 

২০১২ সালে আট দিনের হরতালের সময় ২৩ বছর বয়সি মোহাম্মদ একটি ইহুদি স্কুলে হামলা করে তিন ইহুদি শিশু ও এক শিক্ষককে হত্যা করে৷ পরে সে সেনাবাহিনীর তিন সদস্যকেও হত্যা করে, যাদের মধ্যে দুজন মুসলমান ছিলেন৷

'ছোট ভাইকে তৈরি করেছিলেন আবদেলকাদের'

প্রসিকিউটররা অবশ্য আবদেলকাদেরের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন৷ তাঁদের যুক্তি ছিল যে, আবদেলকাদের তার ভাইয়ের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন এবং স্কুলে হত্যাকান্ডের জন্য যে স্কুটারটি ব্যবহৃত হয়েছিল, সেটি চুরি করতে তিনি ভাইকে সাহায্য করেছিলেন৷

ফরাসি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে আবদেলকাদের- ই তার ভাইকে সন্ত্রাসী বানিয়েছেন৷''

তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন আবদেলকাদের

নজরবন্দী

কট্টর ইসলামপন্থিদের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে আবদেলকাদের অবশ্য ২০০৬ সাল থেকেই গোয়েন্দা সংস্থার নজরে ছিলেন৷

টুলুজ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সময় তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভাইয়ের মৃত্যুতে তিনি গর্বিত, কারণ, তার ভাই ‘যোদ্ধা' হিসেবে মৃত্যুবরণ করেছেন৷''

এএম/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স, এপি)