1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফরাসি সেনার গুলিতে হত আইএস নেতা

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফরাসি সেনার গুলিতে মৃত আইএসের পশ্চিম আফ্রিকার নেতা। দাবি করলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ।

https://p.dw.com/p/40Nag
সাহেল অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন পাঁচ হাজার ফরাসি সেনা। ছবি: Frederic Petry/Hans Lucas/picture alliance

ইসলামিক স্টেট অফ গ্রেটার সাহারার(আইএসজিএস) নেতা আদনান আবু ওয়ালিদ আল-সাহারাউই-কে হত্যা করল ফরাসি সেনা। বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে একথা জানিয়েছেন মাক্রোঁ। এই গোষ্ঠী পশ্চিম সাহারায় অসংখ্য আক্রমণ শানিয়েছে এবং বহু মানুষকে হত্যা করেছে।

মাক্রোঁর দাবি, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এটা বড় সাফল্য।

আইএসজিএস সাহেল এলাকায় রীতিমতো সক্রিয়। বিশেষ করে নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসোর সীমান্তে তারা বহুবার আঘাত হেনেছে। এই এলাকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সম্প্রতি রীতিমতো বেড়েছে। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি স্কুলের বাচ্চাদেরও টার্গেট করেছে। তাদের অপহরণ করেছে।

আইএসজিএস স্থানীয় মানুষের উপরেও একাধিকবার আক্রমণ করেছে। তাছাড়া তারা ২০১৭ সালে মার্কিন সেনার উপর হামলা করে, গত বছর অগাস্টে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ছয় ফরাসিকেও তারা হত্যা করেছে। 

তিন দেশের সীমান্তে সহিংসতা

তিন দেশের সীমান্তে এখন পাঁচ হাজার একশ ফরাসি সেনা মোতায়েন আছে। তাছাড়া মালি, বুরকিনা ফাসো, নাইজার, চাদের সেনাও আছে। তারা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালায়।

কিন্তু সীমান্তে সহিংসতা বাড়তে থাকায় ফ্রান্স ইউরোপের অন্য দেশের কাছেও বারবার সমর্থনের আবেদন জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্যর্থতা এবং ফরাসি সেনার উপর আক্রমণের ঘটনার জন্য দেশের ভিতরেও মাক্রোঁ প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন। মাক্রোঁ জানিয়েছেন, ২০২২-এর মধ্যে ফরাসি সেনার সংখ্যা অর্ধেক করা হবে।

আদনান আবু ওয়ালিদ ২০১৫ সালে মুভমেন্ট ফর ওয়াননেস অ্যান্ড জিহাদ ইন ওয়েস্টার্ন আফ্রিকা(এমইউজেএও) নামে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে এসে আইএসজিএস তৈরি করেন। এরপর সাহেল অঞ্চলে তারা রীতিমতো সক্রিয় হয় এবং একাধিক সহিংস ঘটনার পিছনে তারা ছিল। কিছুদিন হলো তিন দেশের সীমান্তে তারা সক্রিয় ছিল।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)